প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে জেলার সদর উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণীর ইসলাম ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা এবং হিন্দু ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা বিষয়ের পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে।
সোমবার গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার সবকটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু রোববার শহরের বিভিন্ন কোচিং সেন্টারে ওই পরীক্ষার প্রশ্নপত্র সাজেশন হিসেবে শিক্ষার্থীদের প্রদান করা হয়।
বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর গোপালগঞ্জ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ শাহ আলম তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পেয়ে সদর উপজেলার সব স্কুলে ৪র্থ শ্রেণীর ইসলাম ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা এবং হিন্দু ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা বিষয়ের পরীক্ষা বাতিল করে নতুন প্রশ্নে পরীক্ষা গ্রহণের নির্দেশ দেন।
এ ব্যাপারে এক অভিভাবক জানান, আমার ছেলে সারা বছর পড়েও ভাল রেজাল্ট করতে পারেনা। কিন্তু অনেকে না পড়েই পরীক্ষার আগে প্রশ্নপত্র হাতে পেয়ে ভাল রেজাল্ট করে। এতে মেধাবী শিক্ষার্থীরা বঞ্চিত হচ্ছে। এ ঘটনায় জড়িত কোচিং সেন্টারসহ সংশ্লিস্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান তিনি।
সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আবু আহাদ মিয়া ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমরা প্রশ্ন করে স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের হাতে দিয়ে দেই। অভিন্ন প্রশ্নে গোটা উপজেলায় পরীক্ষা হয়ে আসছিল। কিন্তু প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় সোমবারের পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে।
তিনি জানান, আগামীতে নতুন প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নেয়া হবে। এ ঘটনায় জড়িতদের খুজে বের করতে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।