ক্যানবেরার মানুকা ওভালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৩৭২ রান তুলেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। পুরো রানই এসেছে ক্রিস গেইল-মারলন স্যামুয়েলস জুটিতে। এরমধ্যে গেইল করেছেন ডাবল সেঞ্চুরি; আর শতক নিয়ে অপরাজিত ছিলেন স্যামুয়েলস।
আরও বেশ কিছু রেকর্ড আর কীর্তি হয়ে গেছে ওই পঞ্চাশ ওভারে। সেসবেরই একঝলক…
৩৭২– একদিনের ক্রিকেটে যে কোনো উইকেটে সবচেয়ে বড় জুটি এখন গেইল-স্যামুয়েলসের। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে দু’জনে মিলে তুলেছেন ৩৭২ রান। এর আগের সর্বোচ্চ ছিল ১৯৯৯ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে করা রাহুল দ্রাবিড়-শচীন টেন্ডুলকারের ৩৩১ রান।
২১৫– দক্ষিণ আফ্রিকার গ্যারি কারস্টেন আরব আমিরাতের বিপক্ষে ১৮৮ রান করেছিলেন ১৯৯৬ বিশ্বকাপে। তারপর থেকে রেকর্ডটা অক্ষতই ছিল এতোদিন। গেইলের ২১৫ সেই রেকর্ডকে টপকে তো গেছেই, হয়ে গেছে বিশ্বকাপের একমাত্র দ্বি-শতকও।
১৩৮– গেইল তার ডাবল সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ১৩৮ বলে। এটি দ্রুততম দ্বি-শতকের রেকর্ড। এর আগে ১৪০ বলে এই রানে পৌছেছিলেন ভারতের বিরেন্দর শেবাগ। শচীন এই রান করতে খেলেছিলেন ১৪৭ বল। আর রোহিত শর্মা তার দুই ডাবল সেঞ্চুরিতে খেলেছিলেন যথাক্রমে ১৫১ এবং ১৫৬ বল।
১৬- ২১৫ রানের ইনিংস খেলার পথে গেইল ছয় মেরেছেন ১৬টি। এটি একদিনের ক্রিকেট ম্যাচে সর্বোচ্চ। এক ইনিংসে সমানসংখ্যক ছয় মেরেছেন ভারতের রোহিত শর্মা এবং দক্ষিণ আফ্রিকার অ্যাবি ডি ভিলিয়ার্স।
৪– গেইলের ওয়ানডে সেঞ্চুরি এখন ২২টি। সমানসংখ্যক সেঞ্চুরি আছে সৌরভ গাঙ্গুলী আর বিরাট কোহলির। সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির মালিকানায় তারা এখন চতুর্থ।
৩– বিশ্বকাপে টেস্ট খেলুড়ে দেশের বিপক্ষে আরেক টেস্ট খেলুড়ে দলের তৃতীয় সর্বোচ্চ ৩৭২ রান। ২০০৭ বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়া করেছিল ৩৭৭ রান। আর ১৯৯৯-তে শ্রীলংকার বিপক্ষে ভারতের রান ছিল ৩৭৩।
১– আজকের দিন পর্যন্ত একদিনের আন্তর্জাতিন ম্যাচ হয়েছে ৩ হাজার ৬১২টি। এরমধ্যেই ডাবল সেঞ্চুরির হিসেবে গেইলের ইনিংসটি মাত্রই পঞ্চম। কিন্তু দেশ এবং খেলোয়াড়ের দিক থেকে একদমই প্রথম। এর আগের চারটি ডাবল সেঞ্চুরিই করেছেন ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা, সেটা আবার ভারতেরই মাটিতে। এবার গেইল দ্বি-শতক করেছেন প্রথম অ-ভারতীয় হিসেবে, মাঠও ভারতেরই বাইরে, অস্ট্রেলিয়ায়।