চুনমুন তাদের আদরের বানরটির নাম। চুনমুনকে দুধ, ফল ও ঘরে তৈরি খাবার খাওয়ানো হয়। গ্রীষ্মে চুনমুন শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত রুমে আর শীতে তার কক্ষ উষ্ণ করার জন্য থাকে রুম হিটার।
২০১০ সালে ধুমধাম করে চুনমুনের বিয়ে দেয়া হয় বিত্তি যাদব নামক আরেকটি মেয়ে বানরের সঙ্গে। এরপর থেকে চুনমুন দম্পতি ব্রজেশ দম্পতির সঙ্গেই বসবাস করতে থাকে। প্রতি বছর ঘটা করে পালিত হয় বানর দম্পতির বিয়েবার্ষিকী।
নিঃসন্তান এই দম্পতি বলেন, তারা বানরটিকে ছেলের মতো করেই বড় করেছেন।
ব্রজেশ শ্রীভাস্তব হিন্দু কিন্তু তার স্ত্রী মুসলিম। ভারতের বহু জায়গাতেই এ ধরনের বিয়ে নিয়ে বিতর্ক হয়ে থাকে। এ দম্পতির ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। বিয়ের পর নিজ পরিবারের দরজাও তাদের জন্য বন্ধ হয়ে যায়। চুনমুনকে কেনার আগে তারা কার্যত একঘরেই ছিলেন।
শাবিস্তা বলেন, সে ছিল শিশু। বয়স ছিল একমাসেরও কম। তার মা বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গিয়েছিলেন।
ব্রজেশ শ্রীভাস্তব বলেন, চুনমুনকে আনার পর থেকে তার ব্যবসা ও পরিবারের উন্নতি হতে থাকে। উত্তর প্রদেশের রায়বেরিলিতে ব্রজেশ দম্পতির বাড়িটির নামকরণ করা হয়েছে চুনমুনের নামেই।
একবার লোকজনকে কামড়ানোর পর চুনমুনকে নিয়ে চিকিৎসকের দ্বারস্থ হয়েছিলো ব্রজেশ দম্পতি। পরে অবশ্য তার দাত সমান করে দেয়া হয় যাতে সে কাউকে কামড় দিতে না পারে।
ভারতে সাধারণত অর্থ উপার্জনের জন্য অনেকে বানর রাখলেও পোষা প্রাণী হিসেবে বানর পালনের ঘটনা খুবই কম।