রোহিঙ্গাদের কাছে ছুটে গেলেন তাহসান

SHARE

জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর। বাংলাদেশে সংস্থাটি কাজ শুরু হয় ১৯৭১ সালে শরণার্থী বাংলাদেশীদের পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন দেশ থেকে স্বাধীন বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনার মাধ্যমে। চলমান রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে সংস্থাটির বাংলাদেশের কার্যক্রম এখনও বিদ্যমান।

সম্প্রতি এই সংস্থার শুভেচ্ছাদূত নির্বাচিত হয়েছেন দেশের জনপ্রিয় গায়ক ও অভিনেতা তাহসান খান। সেই দায়িত্ব পালনের অংশ হিসেবে বিশ্ব শরণার্থী দিবস উপলক্ষে গতকাল (২০ জুন) কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবিরে যান তিনি।

পাশাপাশি তিনি কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ইউএনএইচসিআরের সহায়তায় আইসিইউ (ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট বা নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র) রোগীদের জন্য নির্মিত একটি ল্যাবরেটরি উদ্বোধন করেন।

সে অনুষ্ঠানে তাহসান বলেন, ‘এই আইসিইউটি কক্সবাজারের প্রথম। যা এক বছর আগে তৈরি হয়েছিল। শুধু এই এক বছরেই এটি অনেকের জীবন বাঁচিয়েছে। আজকের এই ল্যাবরেটরি সেবা যোগ করার মাধ্যমে আরো অনেক রোহিঙ্গা এবং স্থানীয় জনগণের জীবন রক্ষাকারী চিকিৎসা নিশ্চিত করা যাবে। এটি একটি দারুণ উদাহরণ।’

এদিকে জাতিসংঘ শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার বলছে, রোহিঙ্গাদের বিসয়ে বাংলাদেশ সারাবিশ্বের কাছে ইতিবাচক দৃষ্টান্ত হয়েছে। বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের প্রায় ৪ বছর ধরে শুধু আশ্রয়ই দেয়নি, এর সাথে জাতীয় কোভিড-১৯ কার্যক্রম ও টিকাদান কর্মসূচিতেও তাদের যুক্ত করা হয়েছে।

এদিকে, রোহিঙ্গাদের স্বাস্থ্য অবস্থা ছাড়াও তাহসান তাদের সংস্কৃতি ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রম নিয়ে কথা বলেন।

শিল্পী জানান, সেখানে চলচ্চিত্র ও সংগীত নিয়ে কাজ করছে একঝাঁক তরুণ। রোহিঙ্গাদের জন্য তৈরি হয়েছে ‘ওমর’স ফিল্ম স্কুল’। সেখানে তারা গান, মিউজিক, ফটোগ্রাফি, ফিল্মের মাধ্যমে নিজস্ব সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য তুলে ধরছে।