রাষ্ট্র ও সমাজ বিনির্মাণে জাতীয় ঐকমত্যের বিকল্প নেই

SHARE

salahuddin8মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনায় গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ও সমাজ বিনির্মাণে জাতীয় ঐকমত্যের বিকল্প নেই। জাতীয় স্পৃহা পূরণে সমগ্র জাতি আজ ঐক্যবদ্ধ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদ।

বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।

সালাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, জনগণের বৈধ গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে সন্ত্রাসী ও জঙ্গি কার্যক্রম বলে চালিয়ে দেয়ার প্রচারযুদ্ধ শুরু করেছে অবৈধ সরকার। পেট্রলবোমায় আক্রান্ত মানুষের আর্তনাদকে পুঁজি করে আন্তর্জাতিক মহলের সহানুভূতি অর্জনের আওয়ামী ভণ্ডামি জনগণের সামনে উন্মোচিত হয়েছে অনেক আগেই। কতিপয় দলকানা গণমাধ্যমে দিবানিশি অপপ্রচারের মাধ্যমে গোয়েবলসীয় কায়দায় বিএনপি ও ২০ দলীয় জোটের নেতৃত্বে চলমান শান্তিপূর্ণ গণআন্দোলনকে কলুষিত করার হীন চক্রান্ত কখনো সফল হবেনা।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, আমরা অত্যন্ত দৃঢ়ভাবে তথ্য-উপাত্ত সহকারে জাতির সামনে বারেবারেই উপস্থাপন করেছি এসব জঘন্য পেট্রোলবোমাবাজির সাথে সরকারি দলের নেতা-কর্মীরাই জড়িত। গণতন্ত্র মুক্তির ন্যায্য আন্দোলনকে দমন-পীড়নের সকল অপচেষ্টাই ব্যর্থ হয়ে এখন কেবল নিয়ন্ত্রিত ও দলকানা কতিপয় মিডিয়ার বদৌলতে অনির্বাচিত ও অবৈধ সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়। জনগণের দৃষ্টি অন্যদিকে ফেরাতে চায়।

তিনি বলেন, সরকার গায়ের জোরে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলুপ্তি ঘটানোর ফলেই সাংবিধানিক ও রাজনৈতিক সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। বাকশালের অনুকরণে একদলীয় শাসনব্যবস্থা কায়েমের উগ্র বাসনাই জাতিকে চরম সংকটে নিপতিত করেছে।

বিরোধী দলের কার্যালয় তালাবদ্ধ করে, বেগম খালেদা জিয়াকে অবরুদ্ধ করে, বিদ্যুৎ, টেলিফোন, ফ্যাক্স, ইন্টারনেট, ক্যাবল লাইন কেটে দিয়ে এবং সর্বশেষ খাদ্য সরবরাহ বন্ধ করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী দেশের মানুষকে গণতন্ত্রের সবক শেখাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী ও তার নেতা-মন্ত্রীদের মিথ্যার বেসাতি এ দেশের জনগণ এবং সারাবিশ্ব জানে।

বিবৃতিতে সালাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, গতকাল (মঙ্গলবার) প্রধানমন্ত্রী বলেছেন-দেশের পরিস্থিতি ১৯৭১ সালের মতো। তিনি ঠিকই বলেছেন-কারণ ৭১ এ শাসক শ্রেণীর বিরুদ্ধে জনগণের মুক্তি সংগ্রাম জাতীয় মুক্তিযুদ্ধ সংগঠিত হয়েছিল; আর বর্তমানে গণতন্ত্র হত্যাকারী আওয়ামী দু:শাসনের বিরুদ্ধে জনগণের অভিপ্রায় অনুযায়ী গণতান্ত্রিক সমাজ পুন:প্রতিষ্ঠার দুর্বার আন্দোলন পরিচালিত হচ্ছে।