থানায় হাজতে সাত লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ে করে অবশেষে মুক্তি পেলেন রাঙামাটির লংগদু উপজেলার ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক জাহিদ। সোমবার তাকে এক কলেজছাত্রীসহ একটি আবাসিক হোটেল থেকে আটক করেছিল পুলিশ।
সোমবার সারা দিন থানা হাজতে আটক থাকার পর বিয়ের সিদ্ধান্ত হলে সেখানেই ওই মেয়েকে বিয়ে করতে বাধ্য হন উপজেলা ছাত্রলীগের ওই নেতা। রাত ১১টার দিকে তারা থানা থেকে ছাড়া পান।
শাহ আলম আরো বলেন, “ছেলে-মেয়ে উভয় পক্ষের পরিবারের সম্মতিতে সাত লাখ টাকা দেনমোহরের বিনিময়ে তাদের বিয়ের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এরপর রাত ১১টার সময় তারা থানা থেকে চলে যান।”
জাহিদের স্বজনদের একটি সূত্র জানায়, থানায় আটক অবস্থায় ছেলে-মেয়ে প্রাথমিকভাবে বিয়ে হয়ে যাওয়ার ব্যাপারে জানালেও কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। পরে তারা উভয়েই অনুতপ্ত হয়ে বিয়ে করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিলেও বিকেল বেলায় থানায় আসে মেয়ের বড় বোন। এ সময় বড় বোনের সাথে কিছুক্ষণ কথা বলার পর মেয়ে তার সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে ছেলেকে ফাঁসানোর জন্য বিভ্রান্তিমূলক তথ্য দিতে থাকে। পরে আলোচনার একপর্যায়ে মেয়ের বড় বোন ১০ লাখ টাকা কাবিনের শর্তে বিয়ের ব্যাপারে মত জানান।
আলোচনার একপর্যায়ে সাত লাখ টাকা কাবিনে হোটেল থেকে আটক হওয়া সঙ্গীনিকে বিয়ে করতে রাজি হন ছাত্রলীগ নেতা জাহিদ। পরে উভয় পক্ষের সম্মতিতে পুলিশ কর্মকর্তা ও পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে কাজী ডেকে তাদের বিয়ে পড়ানো হয়।
এভাবে অন্তত ১৩ ঘণ্টা থানা হাজতে আটক থাকার পর মুক্তি পান লংগদু থানা ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক জাহিদ।
এর আগে সোমবার সকালে রাঙামাটি শহরের রিজার্ভ বাজারের আবাসিক হোটেল রাজু’ থেকে জাহিদকে সঙ্গিনীসহ আটক করে পুলিশ। স্ত্রী পরিচয় দিয়ে ওই নারীকে নিয়ে হোটেলে ওঠেন জাহিদ।
পরে খবর পেয়ে গোয়েন্দা ও ডিউটিরত পুলিশের একটি দল অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে। এর আগেও একবার আরো একটি মেয়েকে নিয়ে মাইনী এলাকায় ধরা পড়েছিলেন জাহিদ।
এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জাহিদের সঙ্গে আটক কলেজছাত্রীটির বাড়ি রাঙামাটির বাঘাইছড়িতে। তার বাবা লাল মিয়া কুটির শিল্প বিসিকের একজন কর্মচারী।