বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তবর্তী এলাকা বিভিন্ন সময় আকস্মিকভাবে অনাকাঙ্খিত ও স্পর্শকাতর ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনার তাৎক্ষনিক মীমাংসা করতে ক্ষমতা চেয়েছে জেলা প্রশাসকরা।
এর জন্য একটি দ্বিপাক্ষিক চুক্তি ও সুনিদিষ্ট নীতিমালা প্রণয়নে দাবিও করেছেন ডিসিরা। মন্ত্রিপরিষদে পাঠানো পত্রে এসব বিষয় বলা হয়েছে। পাঠানো কপি নতুন বার্তা ডটকমের সংরক্ষণে রয়েছে।
আগামী ৮ থেকে ১০ জুলাই এ বছর জেলা প্রশাসক সম্মেলন হবে। ডিসি সম্মেলনে আলোচনার বিষয়বস্তুর প্রস্তাবনা চেয়ে গত ১৬ মার্চ সব জেলা প্রশাসকদের চিঠি পাঠায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
এর আগে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের চিঠিতে গত ২৫ মার্চের মধ্যে ডিসিদের সম্মেলনে উত্থাপনীয় বিষয়ে তথ্য-উপাত্ত পাঠাতে বলা হয়েছিল।
সিলেট বিভাগীয় কমিশনার সাজ্জাদুল হাসান স্বাক্ষরিত পত্রে বলা হয়েছে, দেশের সীমান্তবর্তী এলাকা অনেক সময় আকস্মিকভাবে অনাকাঙ্খিত ও স্পর্শকাতর ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরপরই প্রতিবেশ দেশের সীমান্তবর্তী জেলঅর জেলা প্রশাসক পর্যায়ে দ্বিপাক্ষিক সভা অনুষ্ঠিত হলে বিষয়টি তাৎক্ষনিক মীমাংসা করা সম্ভব হবে।
এতে করে উভয় দেশের মধ্যে বন্ধত্বপুর্ণ সম্পর্কের আরো উন্নতি ঘটবে। জেলা প্রশাসক পযায়ে বৈঠক সম্মর্কে কোন দ্বিপাক্ষিক চুক্তি ও নীতিমালা না থাকায় তাৎক্ষণিক ভাবে সভা আয়োজন করা সম্ভব হয় না।
বাংলাদেশ -ভারত সীমান্তবর্তী এলাকায় বিরোধ দ্রুত নিরসনের লক্ষে উভয় দেশের সীমান্তবর্তী সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক গণে যাতে তাৎক্ষণিক সভা অনুষ্ঠান করতে পারবেন সে লক্ষ্যে একটি দ্বিপাক্ষিক চুক্তি ও সুনিদিষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন করার প্রয়োজন।
এছাড়া জেলা প্রশাসক পযায়ে যৌথ সীমান্ত সম্মেলন আযোজন সংক্রান্ত প্রস্তাবিত নীতিমালাটি জরুরী বাস্তবায়ন ও কাযকর করা প্রয়োজন।
সিলেট জেলা প্রশাসকে উঙ্খাপন করেছেন, জকিগজ্ঞ উপজেলার সুরমা- কুশিয়ারা নদীর তীরে অবস্থিত ভারতের সমীমান্তবর্তী একটি উপজেলা। নদীর ডাইক ভাঙ্গন অত্র উপজেলার একটি নিয়মিত সমস্যা। প্রায় প্রতি বছর সুরমা -কুশিয়ারা নদীর ডাইক ভেঙে ধান্য ফসলাদি বিনষ্ট হয়। তাৎক্ষণিক সুরমা কুশিয়ারা সমীমান্তে টেকশাই বেড়া / ডাইক নির্মাণ অত্যান্ত জরুরি। জকিগজ্ঞ উপজেলার- কুশিয়ারা সীমান্তে পাথরের ব্লক দিয়ে টেকসই ডাইক নির্মাণ ও মেরামত করা যেতে পারে।
ডিসি সম্মেলনে সাধারণত দেশের ৬৪ জেলার জেলার ডিসিদের সঙ্গে সরাসরি মতবিনিময় করে প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা দিয়ে থাকেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারের নীতি-নির্ধারকরা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার কার্যালয়ের শাপলা হলে এবারের সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন। পরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একটি হলে শেখ হাসিনা ডিসিদের সঙ্গে মতবিনিময় ও মুক্ত আলোচনা করেন।
উদ্বোধনী দিনেই ডিসিরা সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে মন্ত্রণালয় ও বিভাগভিত্তিক কার্যঅধিবেশনে অংশ নেন।
সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে জেলা প্রশাসকরা রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করতে বঙ্গভবনে যান। এ সময় রাষ্ট্রপতি ডিসিদের প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা দেন।
তিন দিনে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপদেষ্টারা আরো বিভিন্ন অধিবেশনে জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে মতবিনিময় করে প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা দিয়ে থাকেন।
            
	

