নরেন্দ্র মোদীর সফরে আলোচনা হবে বহুল প্রত্যাশিত তিস্তাচুক্তি নিয়ে

SHARE

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সফরে আলোচনা হবে বহুল প্রত্যাশিত তিস্তাচুক্তি নিয়ে, বেশকয়েকটি চুক্তি সইয়ের সম্ভাবনা।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সফরে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সাথে মতবিনিময়কে গুরুত্ব দিচ্ছে নয়াদিল্লি। সাক্ষরিত হতে পারে বেশ কয়েকটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এখন দিনরাত কাজ চলছে চুক্তি এবং সমঝোতা স্মারকগুলো তৈরির। বহুল আলোচিত তিস্তাচুক্তি নিয়েও আলোচনা হবে।

২৬শে মার্চ দুপুরে ঢাকায় এসে বিকালে স্বাধীনতার সূবর্ণজয়ন্তীর মূল অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পরদিন যাবেন গোপালগঞ্জে।

অনেকদিন পর কোনও দেশের রাষ্ট্রপ্রধান সফরে এসে যাচ্ছেন ঢাকার বাইরে। গোপালগঞ্জে ওড়াকান্দির মতুয়া সম্প্রদায়ের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন মোদী। তারপর যাবেন সাতক্ষীরায় একটি মন্দির পরিদর্শনে।

হঠাৎ সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সাথে এতো গুরুত্বের সাথে মতবিনিময় কেন জানতে চাইলে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, এতে দেশটির নিজস্ব কিছু স্বার্থ রয়েছে। তিনি বলেন, তিনি যশোরেশ্বরী মন্দিরে যাবেন। এটি মূলত একটি তীর্থস্থান। এছাড়া মতুয়া সম্প্রদায়ের অনেক লোক আছে যারা নিম্ন বর্ণের। এদের অনেক লোক পশ্চিমবঙ্গে থাকে। এদের সঙ্গে মতবিনিময় করে উনার নির্বাচনী প্রচারণাও হবে।

প্রধানমন্ত্রীর সাথে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে চুক্তি এবং সমঝোতা স্মারকের পাশাপাশি উঠবে তিস্তাচুক্তি ইস্যুও জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, এই বিষয়টি আমাদের সবসময়ই থাকে। তিস্তা সমস্যাটি ভারতের জন্য একটি লজ্জাজনক বিষয়। তিস্তা তাদের মাথাব্যাথার বিষয় আমাদের না। ভারত সরকার কিন্তু কখনোই বলেনি তিস্তা চুক্তির কোন কিছুর ব্যতয় ঘটেছে। তারা বলেছে আমরা যে চুক্তি করেছি তা স্বারপক্ষেই আছে কিন্তু কিছু কারণে তা বাস্তবায়ন হচ্ছে না।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও ১৭ই মার্চ থেকে ঢাকা সফরে আসছেন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহাম্মেদ সলিহ, শ্রীলংকার প্রেসিডেন্ট মাহিন্দা রাজাপাকসে, নেপালের প্রেসিডেন্ট বিদ্যাদেবী ভান্ডারী। এছাড়া কানাডা, ফ্রান্স, জাপান, কম্বোডিয়া, চীনসহ আরো কয়েকটি দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর আয়োজনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হবেন অথবা বানী পাঠাবেন।