সম্ভাবনা জাগিয়েও জয়ের তরী তীরে ভেড়াতে পারেনি বাংলাদেশ। ২০১২ সালের এশিয়া কাপের পর সোমবারও সিডনিতে প্রস্তুতি ম্যাচে পাকিস্তানকে নাগালের মাঝে পেয়েছিল বাংলাদেশ। এবারও শেষ অবধি পরাজয়ের হতাশাই সঙ্গী হয়েছে টাইগারদের।
ব্ল্যাকটাউন অলিম্পিক পার্ক ওভালে নিজেদের প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে পাকিস্তানের কাছে তিন উইকেটে হেরেছে বাংলাদেশ। প্রথমে ব্যাট করে তামিম, মাহমুদউল্লাহর জোড়া হাফ সেঞ্চুরিতে ২৪৬ রান করে মাশরাফির দল। জবাবে ১১ বল বাকি থাকতেই সাত উইকেটে ২৪৭ রান তুলে ম্যাচ জিতে নেয় পাকিস্তান।
এরপর উমর আকমল-শোয়েব মাকসুদের ৬৩ রানের জুটি ভেঙে দেন টাইগার অধিনায়ক মাশরাফি। উমর আকমলও ৩৯ রান করেন। মিসবাহকে বোল্ড করেন তাসকিন।
শেষদিকে রান-বলের সমীকরণটা পাকিস্তানের পক্ষে নিয়ে যান সেট ব্যাটসম্যান শোয়েব মাকসুদ ও আফ্রিদি। দলকে জয় থেকে রান দূরে রেখে আফ্রিদি ২৪ রান করে আউট হন সাকিবের বলে। এক প্রান্ত আগলে পাকিস্তানের জয়টা নিশ্চিত করেন শোয়েব মাকসুদ। তিনি অপরাজিত ৯৩ রান করেন। বাংলাদেশের পক্ষে মাশরাফি-তাসকিন ২টি করে উইকেট পান। সাকিব, রুবেল, রিয়াদ নেন একটি করে উইকেট।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশ ইনিংসের শুরুতেই বিপর্যয়ের মুখে পড়েছিল। ১৬ রানেই দুই উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ। ইনিংসের ষষ্ঠ বলে এনামুল বিজয় সোহাইল খানের শিকার হন। সপ্তম ওভারে মমিনুলকে ফেরত পাঠান মোহাম্মদ ইরফান।
তৃতীয় উইকেট জুটিতে দলের হাল ধরেন তামিম ইকবাল ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ইনিংস মেরামতের পাশাপাশি দলকে বড় রানের ভিতও গড়ে দেন তারা। ৩৩ ওভার স্থায়ী জুটিতে তামিম-রিয়াদ ১৬৮ রান যোগ করেন।
দুজনেই হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন। সেঞ্চুরির দিকেও ক্রমশ এগিয়ে যাচ্ছিলেন তারা। কিন্তু এ জুটি বিচ্ছিন্ন হয় মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ রান আউট হলে। চার নম্বরে ব্যাট করতে নামা রিয়াদ ১০৯ বলে ৫ চারে ৮৩ রান করেন। সঙ্গীর বিদায়ের পর তামিমও স্থায়ী হননি। দলীয় ১৯০ রানে ইনজুরি কাটিয়ে ফেরা এই বাঁহাতি ওপেনার ইয়াসির শাহর বলে বোল্ড হন ৮১ রান করে।
তামিম-রিয়াদের গড়ে দেয়া ভিতের উপর দাঁড়িয়ে দলকে এগিয়ে নিতে ব্যর্থ হয়েছেন মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানরা।
বড় স্কোরের সম্ভাবনা নষ্ট হয় মুশফিকরা থিতু হতে না পারায়। শেষ ১০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ৫৬ রান তুলতে সমর্থ হয় বাংলাদেশ। মুশফিক ০, সৌম্য ১৫, সাব্বির ৬, মাশরাফি ২ রান করেন।
শেষদিকে সাকিবের ৩০ বলে তিনটি চারে ৩১ রানের ইনিংসেই বাংলাদেশ আড়াইশো ছুঁইছুঁই স্কোর গড়ে। পাকিস্তানের মোহাম্মদ ইরফান ৫২ রানে ৫টি, ইয়াসির শাহ ২টি করে উইকেট পান।