এবার ইউরোপে ছাড়পত্র পেল ফাইজারের টিকা

SHARE

জার্মানি ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের (ইইউ)- সদস্য রাষ্ট্রের চাপের মুখে ফাইজার-বায়োএনটেক উদ্ভাবিত করোনাভাইরাসের টিকা প্রয়োগের অনুমতি দিয়েছে ইউরোপিয়ান মেডিসিন্স এজেন্সি (ইএমএ)।

সোমবার এ সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়েছে। ফলে কয়েকদিনের মধ্যে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোয় টিকা প্রদান কর্মসূচি শুরু হতে পারে।

বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকা অনুমোদন দিয়েছিল ইউরোপেরই দেশ ব্রিটেন। পরে মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশ, কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রে টিকাটি জরুরি ব্যবহারের অনুমতি পেয়েছে। এরই মধ্যে যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রে টিকাটির প্রয়োগ শুরু হয়েছে। যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র টিকাটি প্রয়োগ শুরু করায় ইইউর ওপর চাপ বাড়ছিল। বিশেষ করে জার্মানির পক্ষ থেকে। কারণ, এই টিকাটি উদ্ভাবনে জড়িয়ে আছে দেশটির কোম্পানি বায়োএনটেক। যুক্তরাষ্ট্রের ফার্মা জায়ান্ট ফাইজার ও জার্মানির বায়োএনটেক অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে টিকাটি উদ্ভাবন করেছে।

সোমবার অনলাইন প্রেস কনফারেন্সে ইএমএ প্রধান এমের কুক বলেন, আমি আনন্দিত যে, ইইমএ’র বৈজ্ঞানিক কমিটি আজ বৈঠক করেছে। তারা ইইউতে ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকাকে শর্তসাপেক্ষে বাজারজাতকরণের সুপারিশ করেছে।

ইএমএপ্রধান আরও বলেন, আমাদের বৈজ্ঞানিক অভিমত ইইউতে টিকাটির অনুমোদনের পথ সুগম করেছে। এর আওতায় থাকবে ইইউভুক্ত ২৭টি দেশ।

তিনি বলেন, দুর্ভোগ ও ভয়াবহতা সৃষ্টিকারী মহামারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। সত্যিকার অর্থেই এটি ঐতিহাসিক বৈজ্ঞানিক অর্জন। মাত্র এক বছরের কম সময়ের মধ্যে টিকা উদ্ভাবন ও রোগের বিরুদ্ধে ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

কুক বলেন, ফাইজারের টিকা করোনাভাইরাসের নতুন প্রজাতির বিরুদ্ধে সুরক্ষা দিতে পারে। এই মুহূর্তে টিকাটি নতুন প্রজাতির বিরুদ্ধে কার্যকর নয় বলে কোনো প্রমাণ নেই।