সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ ২৬ ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সাময়িক সনদ ও গেজেট বাতিল করা হয়েছে। সোমবার তাদের সনদ বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
মুক্তিযোদ্ধার সনদ ও গেজেট বাতিল হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ব্যাংকের কর্মকর্তা, শিক্ষক, প্রকৌশলী, হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা, কাস্টমস কর্মকর্তা, স্বাস্থ্য অধিদফতরেরের উপপরিচালকসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন।
পরিকল্পনা কমিশনের শিল্প ও শক্তি বিভাগের যুগ্ম প্রধান শামীমা আখতার, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের ডিইও মো. এনামুল হক, কিশোরগঞ্জ ভৈরবের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা (এসএএও) জসিম উদ্দিন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবার সৈয়দাবাদের মো. কামরুল ইসলাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া নবীনগর কালঘড়ার মো. কাঞ্চন মিয়া, বান্দরবান জেলা সমাজসেবা অফিসের হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মো. মাসুদ আহমেদ, যশোর চৌগাছার ইন্দ্রপুরের মো. মজহারুল হক, মানিকগঞ্জ সিঙ্গাইর চর আটিপাড়ার মো. শাহজাহান আলম আবদুর রহমানও এই তালিকায় রয়েছেন।
এ ছাড়া আরো যাদের সনদ বাতিল করা হয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছেন চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ (অধ্যাপক, প্রাণিবিদ্যা) মো. রহমত আলী বিশ্বাস, জনতা ব্যাংক লিমিটেডের সাপোর্ট স্টাফ (ক্যাটাগরি-২) মো. হাসমতুল্যা, নওগাঁর ধামইরহাটের চকযদুর মো. নুরুল ইসলাম, কুড়িগ্রাম উলিপুরের খামারের মো. সাইফুর ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ সওজের সড়ক উপবিভাগ-১ এর উপবিভাগীয় প্রকৌশলী (চ. দা.) দিলীপ কুমার দাস, সাধারণ প্রশাসন শাখার সহকারী মো. এনামুল হক খান, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের এমএলএসএস মো. আবদুল হান্নান শেখ, পাউবোর শাহাবাজপুর গ্যাস ফিল্ড রক্ষা প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ও অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. আব্দুল মতিন।
বাপাউবো সার্কেল-৩ এর নির্বাহী প্রকৌশলী (নকশা) এ কে এম নুরুল ইসলাম, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. ইব্রাহীম মিয়া, ঝিনাইদহের শৈলকূপার জালশুকা রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. আ. বারী খান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উপপরিচালক (সিডিসি) ডা. মো. ফজলুর রহমান, সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ সহযোগী অধ্যাপক (গণিত) মো. কামাল উদ্দিন ও সোনালী ব্যাংকের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ অফিসার ইফতেখার উদ্দিনের মুক্তিযোদ্ধার সাময়িক সনদ ও গেজেট বাতিল করা হয়েছে।
এর আগেও কয়েক দফা ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সনদ ও গেজেট বাতিল করেছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়।