আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেছেন, “বিএনপি-জামায়াত যদি হরতাল-অবরোধ বন্ধ করে তাহলে সরকার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এসব নাশকতা বন্ধ করতে সক্ষম হবে। এ পর্যন্ত ৭২ জন মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। এটা পৈশাচিক কর্মসূচি ছাড়া আর কিছুই নয়।”
সোমবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, “বিএনপি-জামায়াত নিজেদের পেট্রলবোমা হামলায় জড়িত নয় বলে দাবি করছে। তাহলে তাদের সঙ্গে কেন সংলাপ হবে?”
হানিফ বলেন, “এই মুহূর্তে আমাদের বড় সমস্যা পেট্রলবোমা হামলা বন্ধ করা। বিএনপি-জামায়াত যদি পেট্রলবোমা হামলা না করে তাহলে যারা এই হামলা করছে তাদের সঙ্গেই আমাদের সংলাপ করা দরকার।”
ড. কামাল হোসেনের ভূমিকায় বিস্ময় প্রকাশ করে তিনি বলেন, “মুক্তিযুদ্ধের একজন সংগঠক ও সংবিধানের প্রণেতা ড. কামাল হোসেন যখন স্বাধীনতা বিরোধীদের পক্ষ নেন তখন পুরো জাতি স্তম্ভিত হয়ে যায়। তার জামাতা ডেভিড বার্গম্যান যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষ নিয়ে লেখালেখি করেন। জামায়াতের সান্নিধ্যে আসায় তিনি স্বাধীনতার চেতনা থেকে কিছুটা দূরে সরে গেছেন কিনা জানি না। আমরা আশা করছি- তিনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কাছেই ফিরে আসবেন।”
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে জামায়াত নেতা কাদের মোল্লার ফাঁসির পর পাকিস্তানের সংসদে নিন্দা ও কাদের মোল্লাকে পাকিস্তানের একজন অকূতোভয় সৈনিক দাবি করার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন, “জামায়াতের কর্মীরা আজও পাকিস্তানের সৈনিক হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে। খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধে বিপক্ষ শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করা হয়েছে।”
সংবাদ সম্মেলন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান, ড. আব্দুর রাজ্জাক, ফরিদুন নাহার লাইলি, ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, বদিউজ্জামান ভূইয়া ডাবলু, এনামুল হক শামীম, সুজিত রায় নন্দী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।