স্থানীয় সময় শনিবার সকাল ৮টা থেকে ১২ হাজার ৮৩টি ভোটকেন্দ্রে ভোটাগ্রহণ শুরু হয়েছে, চলবে আজ সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত।
৭০ আসনে এ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন দিল্লির সাবেক মুখ্যমন্ত্রী আম আদমি পার্টির (এএপি) অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও ক্ষমতাসীন বিজেপির প্রার্থী কিরণ বেদীসহ ৬৭৩ প্রার্থী। যাদের মধ্যে রয়েছে ৬৩ জন নারী।
এ নির্বাচনে মোট ভোটার এক কোটি ৩৩ লাখ। নির্বাচন ঘিরে দিল্লি জুড়ে ৫৫ হাজারেরও বেশি পুলিশ সদস্য ও আধা সামরিক বাহিনীর সদস্যসহ ৬৪ হাজার নিরাপত্তা কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে।
নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হবে আগামী মঙ্গলবার।
বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বহুল আলোচিত এই নির্বাচনে লড়াই হবে মূলত প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বি ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) কিরণ বেদী ও আম আদমি পার্টির (এএপি) অরবিন্দ কেজরিওয়ালের মধ্যে।
এ দুই প্রার্থীই ভারতের সাবেক সরকারি কর্মকর্তা ও দুর্নীতি বিরোধী অভিযানের নেতা আন্না হাজারের সাথে সক্রিয় ছিলেন। দু’জনেই র্যামন ম্যাগসেসে পুরস্কারপ্রাপ্ত।
১৬ বছর ধরে দিল্লির ক্ষমতার বাইরে থাকা বিজেপি লড়াইয়ে টিকে থাকতে কিরণ বেদিকে মনোনয়ন দেয়।
প্রচারণার সময় উভয় প্রার্থীই সুশাসন, দুর্নীতিমুক্ত ও নারীদের জন্য নিরাপদ দিল্লি গড়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
দিল্লির নির্বাচন নিয়ে নানা জরিপ এএপিকে এগিয়ে রেখেছে। ৬টি জরিপের ফলাফল একত্র করে এনডিটিভির করা এক জরিপের ফলে জানানো হয়, এএপি ৩৬টি আসন পেতে পারে। বিজেপি ও তাদের সহযোগী আকালি দল পেতে পারে ৩০টি আসন। তবে ২০১৩ সালের আগে দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে দিল্লিতে ক্ষমতায় থাকা কংগ্রেস পাবে মাত্র ৪টি।
এর আগে ২০১৩ সালে ডিসেম্বরে দিল্লিতে সর্বশেষ বিধান সভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ নিবার্চনে বিজেপি সর্বাধিক আসন পেলেও প্রয়োজনীয আসনের চেয়ে কম পাওয়ায় সরকার গঠন করতে পারেনি। ফলে এ নির্বাচনে দ্বিতীয় সংখ্যাগরিষ্ঠ দল আম আদমি পার্টি কংগ্রেসকে সাথে নিয়ে সরকার গঠন করে। আম আদমি পার্টির প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল সে সময় মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হন। কিন্তু বিরোধী দলের বিরোধীতায় দুর্নীতি বিরোধী একটি বিল পাস করতে ব্যর্থ হওয়ায় ক্ষমতা গ্রহণের ৪৯ দিন পর ১৪ ফেব্রুয়ারি পদত্যাগ করেন তিনি। খবর: এনডিটিভি, বিবিসি