কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তমের অবস্থান কর্মসূচির মঞ্চ, চেয়ার, অবস্থানে ব্যবহৃত বাঁশ, কাঠ, চেয়ার, মঞ্চ নিয়ে গেছে পুলিশ। রোববার দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে। দলটির পক্ষ থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে ভয়-ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগও করেছে দলটি। এদিকে এখানে থাকার অনুমতি নেই জানিয়ে গতরাত সাড়ে ৮টার দিকে মতিঝিল থানার ওসি ঘটনাস্থলে গিয়ে অবস্থান কর্মসূচি গুটিয়ে নিতে বলেন। এ সময় কাদের সিদ্দিকী বলেন, এখান থেকে তুলে দেয়া হলে তিনি প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের সামনে গিয়ে অবস্থান নিবেন। গতকাল অবস্থান কর্মসূচি থেকে লাল মিয়া নামে দলীয় এক কর্মীকে আটক করে পুলিশ। কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন, পুলিশ কখনও প্রেস লেখা, আবার কখনও নম্বরবিহীন গাড়িতে করে আসছে। যদিও সরঞ্জাম লুটপাট ও ভয়ভীতির অভিযোগ অস্বীকার করেছে পুলিশ। অপরদিকে সব ভয়ভীতি ও বাধা উপেক্ষা করে শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেছেন অবস্থানকারীরা। হরতাল-অবরোধ প্রত্যাহার করতে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এবং দেশের চলমান সঙ্কটে আলোচনায় বসতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে দাবি জানিয়ে গত ৬ দিন ধরে নেতাকর্মীদের নিয়ে মতিঝিলের দলীয় কার্যালয়ের সামনে ফুটপাতে অবস্থান করছেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী। সেখানেই কাটছে তার রাতদিন। তার সঙ্গে রয়েছেন বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ফুটপাতে ফুটপাতে অবস্থান করছেন কাদের সিদ্দিকীর স্ত্রী নাসরিন সিদ্দিকী, মেয়ে কুশি সিদ্দিকীসহ আত্মীয়স্বজন। কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের নেতারা জানিয়েছেন, কাদের সিদ্দিকী রোববার রাতে ফুটপাতে ঘুমিয়ে ছিলেন। তিনি ঘুমানোর পর রাত ১টার দিকে নম্বর প্লেটবিহীন একটি হায়েস মাইক্রোবাসে করে মতিঝিল থানা থেকে সাদা পোশাকের পুলিশ আসে। তারা সঙ্গে করে একটি পিকআপ ভ্যান নিয়ে আসে। অবস্থানস্থলে পৌঁছে কোন কথা বলার সুযোগ না দিয়ে ৪০-৫০ জন নেতাকর্মীর সামনেই গণসঙ্গীত গাওয়ার জন্য প্রস্তুতকৃত মঞ্চটি খুলে নিয়ে পিকআপে করে নিয়ে যায়। এছাড়া ব্যবহৃত বাঁশ, কাঠ এবং চেয়ারগুলোও নিয়ে যায় তারা। এর আগে পঞ্চম দিনে কাদের সিদ্দিকী ঘুমিয়ে পড়লে একইভাবে গভীর রাতে প্রেস লেখা একটি গাড়িতে করে মতিঝিল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। ওই দিনও তারা কোন নোটিশ ছাড়া মাইক, সামনের শামিয়ানা ও বাঁশ খুলে নিয়ে যায়। পুলিশ অবস্থানরত নেতাকর্মীকে শাসিয়েও যান। এ সময় দলের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান তালুকদার, যুগ্ম-সম্পাদক ইকবাল সিদ্দিকী ও কেন্দ্রীয় নেতা এডভোকেট রফিকুল ইসলাম, যুব আন্দোলনের আহ্বায়ক হাবিবুন নবী সোহেল ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক রিফাতুল ইসলাম দীপসহ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এসব অভিযোগের ব্যাপারে পুলিশের মতিঝিল বিভাগের ভারপ্রাপ্ত উপ-কমিশনার আনোয়ার হোসেন জানান, কারা তার জিনিসপত্র নিয়ে যাচ্ছে এ বিষয়ে আমাদের কাছে কোন তথ্য নেই। কেউ আমাদের সঙ্গে যোগাযোগও করেনি।