শিগগিরিই রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল হবে: গওহর রিজভী

SHARE

gohorপ্রধানমন্ত্রীর পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী বলেছেন, ‘খুব শিগগিরিই দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে। সম্প্রতি কিছু মানুষ রাজনৈতিক পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। এর সঙ্গে জনগণের সম্পৃক্ততা একেবারেই নেই। বাস্তবে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল।’

সোমবার ঢাকার একটি হোটেলে সফররত সেন্ট্রাল এশিয়া-প্যাসিফিক চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (সিএসিসিসআই) প্রতিনিধি দলের সঙ্গে এফবিসিসিআই এর আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে গওহর রিজভি বলেন, ‘অবরোধ দিয়ে দেশ অচল করে দেওয়ার দাবি করা হলেও খাদ্যশস্যের দাম বাড়েনি, বরং গত কয়েকদিনে কমেছে। বাংলাদেশে কোন রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা নেই। কিছু লোক অরাজকতা করে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে। তাদের জনসমর্থন কিংবা কর্মসূচিতে জনসম্পৃক্ততা কোনোটাই নেই। খুব শিগগিরিই ওই সব অরাজকতা বন্ধ হবে এবং পূর্ণ স্থিতিশীল অবস্থা বিরাজ করবে। এ নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই।’
আলোচনা সভায় সিএসিসিআই এর সভাপতি জেমাল ইনাইশভিলি বাংলাদেশকে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের জন্য সম্ভাবনাময় বলে উল্লেখ করলেও চলমান অস্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে উদ্বেগজনক হিসেবে উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি, জনগণের ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধি প্রভৃতি বিষয় সম্পর্কে আমরা অবহিত। বিপুল সম্ভাবনার সামনে দাঁড়িয়ে আছে বাংলাদেশ। এগিয়েও যাচ্ছে খুব দ্রুত। বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহীর সংখ্যাও ক্রমাগত বাড়ছে। কিন্তু অস্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিনিয়াগকারীদের উদ্বিগ্ন না করে পারে না। এ পরিস্থিতি যত দ্রুত নিরসন হয়, ততই ভাল।’
বাংলাদেশের রাজনীতিবিদরা অচিরেই এ অবস্থার পরিবর্তন ঘটিয়ে স্থিতিশীল, শান্তিপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টি করবেন বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
ড. গওহর সিএসিসিআই প্রতিনিধিদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা গভীরভাবে বাংলাদেশকে দেখুন। বাংলাদেশ এখন আর তলাবিহীন ঝুড়ি নেই। গত ছয় বছরে বাংলাদেশে প্রয়োজনীয় খাতগুলোতে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে যা বিনিয়োগের জন্য আকর্ষণীয় পরিবেশ তৈরি করেছে।’
সভায় এফবিসিসিআই সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক সুদৃঢ় করতে এফবিসিসিআই দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করছে।’ সিএসসিসআই এর মাধ্যমে অদূর ভবিষ্যতে নতুন বিনিয়োগ আসবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন এফবিসিসিআই সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ, এফবিসিসিআই এর প্রথম সহ-সভাপতি মনোয়ারা হাকিম আলী, সিএসিসিআই এর ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রদীপ কুমার শ্রেষ্ঠ এবং সিএসিসিআই এর উপ মহাপরিচালক আমাদর হোনারদো প্রমুখ।