চট্টগ্রাম-ঢাকা রুটে ১ জুন থেকে প্রতিদিন ১১টি ফ্লাইটে যাত্রী পরিবহন শুরু হচ্ছে। সরকারি বিমান সংস্থা বাংলাদেশ বিমান এবং দুটি বেসরকারি বিমান সংস্থা ইউএস বাংলা ও নভোএয়ার চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ঢাকা শাহ জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাত্রী পরিবহন করবে।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধের মাধ্য নিরাপদে যাত্রী পরিবহনের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত করা হয়েছে চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরকে। নেওয়া হয়েছে বেশ কিছু কড়া পদক্ষেপ। এরমধ্যে অন্যতম হচ্ছে, যাত্রীকে বিমানবন্দর টার্মিনাল ভবনে প্রবেশের সময় একবার জ্বর মাপা হবে। আবার বিমানে উঠার সময় আরেকবার জ্বর মেপে নিশ্চিত হতে হবে। সেই পদক্ষেপ কার্যকরের পর নির্ভর করছে বিমান যাত্রীরা কতটা নিরাপদে ভ্রমণ করতে পারবেন।
পদক্ষেপ সর্ম্পকে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ব্যবস্থাপক উইং কমান্ডার এবিএম সারোয়ার ই জামান কালের কণ্ঠকে বলেন, সিভিল এভিয়েশনের নির্দেশনামতে আমরা করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করবো যাত্রীদের। একজন যাত্রীকে টার্মিনাল ভবনে প্রবেশের আগেই গাড়িকে জীবাণুনাশক করা হবে। এরপর যাত্রীকে সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে। যাত্রীকে বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক, গ্লাভস পরে পা জীবাণুমুক্ত করতে হবে। এরপর ভবনে প্রবেশের সময় ইনফ্রায়েড থার্মোমিটার দিয়ে জ্বর মাপা হবে। চেকইন কাউন্টারে শারীরিক দূরত্ব মেনে লাইনে দাঁড়িয়ে বোর্ডিং পাস নিতে হবে। এরপর ভবন থেকে বের হয়ে উড়োজাহাজে পৌঁছার পর বিমানে উঠার আগেই আরেকবার জ্বর মেপে নিশ্চিত হতে হবে। একইসাথে সেখানে আরেকবার পা জীবাণুমুক্ত করা হবে।
জানা গেছে, চট্টগ্রাম বিমানবন্দর থেকে চট্টগ্রাম-ঢাকা অভ্যন্তরীণ রুটে প্রতিদিন ১১টি ফ্লাইটে যাত্রী পরিবহন শুরু হবে ১ জুন থেকে। এরমধ্যে বিমান বাংলাদেশ দিনে দুটি, বেসরকারি বিমান সংস্থা ইউএস বাংলা দিনে ৬টি, নভোএয়ার দিনে ৩টি যাত্রীবাহী ফ্লাইট পরিচালনা করবে। তবে বেসরকারি আরেক বিমান সংস্থা রিজেন্ট এয়ার এখন অভ্যন্তরীণ রুটে বিমান পরিচালনার সময় ঘোষণা করেনি। বিমান সংস্থাগুলো তাদের নির্ধারিত আসনের ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে চলাচল করবে।
জানতে চাইলে ইউএস বাংলা এয়ারলাইনসের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ ও মার্কেটিং) কামরুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, আমরা ছোট আকারের উড়োজাহাজ ড্যাশ-৮ এবং এটিআর দিয়ে যাত্রী পরিবহন শুরু করছি। করোনাভাইরাস ঠেকাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে উড়োজাহাজের আকার ভেদে ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে চলাচল করবে। বাকি আসন খালি থাকবে। আর সর্বনিম্ন ভাড়া থাকবে চট্টগ্রাম-ঢাকা একমুখি রুটে তিন হাজার টাকা। আপাতত চট্টগ্রাম-ঢাকা রুটে ৬টি ফ্লাইট চলবে। পরবর্তীতে যাত্রী চাহিদার পর ফ্লাইট ও রুট বাড়বে।
বর্তমানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সরকার অভ্যন্তরীণ রুটে ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-সিলেট, ঢাকা-সৈয়দপুর রুটে যাত্রীবাহী ফ্লাইট চালানোর অনুমতি দিয়েছে।