নতুন বছরে নিজেকে বদলে ফেলছেন মৌসুমি হামিদ। গতানুগতিক ধারার চরিত্রে আর অভিনয় করবেন না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গে নিজের অভিনয়ের ধারাও পাল্টাবেন বলে গ্লিটজের কাছে মন্তব্য করেছেন মৌসুমি।
মৌসুমি গ্লিটজকে বলেন, “নাটকগুলোতে একই ধরনের চরিত্রে অভিনয় করতে চাই না। একটু নিরীক্ষাধর্মী চরিত্রে কাজ করতে চাই। নাটকের কেন্দ্রীয় চরিত্রে কাজ করতে চাই। এখন যে ধারাবাহিকগুলো চলছে তারপর আর কোনো ধারাবাহিকের কাজ করব না। তবে নাটকে কাজ করব। এ বছর চলচ্চিত্রে অভিনয়ের ব্যাপারেও সিদ্ধান্ত নিব।”
অনিমেষ আইচের ‘ না মানুষ’ এর মাধ্যমে চলচ্চিত্রে অভিষেক হওয়া মৌসুমি এখন প্রশান্ত অধিকারীর ‘হডসনের বন্দুক’ সিনেমাতে অভিনয় করছেন। কিন্তু আনুষঙ্গিক নানা কারণে সিনেমার শুটিং বন্ধ আছে সরকারি অনুদান পাওয়া এ সিনেমার।
মৌসুমি বলেন, “হডসনের বন্দুক সিনেমাটি আমার অভিনীত দ্বিতীয় সিনেমা। একটু ভিন্ন ধাঁচের বলে সিনেমাটি নিয়ে আগ্রহের কমতি ছিল না। রাজনৈতিক কারণের পাশাপাশি বিভিন্ন কারণে বন্ধ আছে সিনেমার শুটিং। এ নিয়ে হতাশ আমি।”
মৌসুমি অভিনীত চারটি ধারাবাহিক প্রচারিত হচ্ছে বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে। এগুলো হল শিহাব শাহীনের ‘ভালোবাসার চতুষ্কোণ’, রেদওয়ান রনির ‘রেডিও চকলেট রিলোডেড’, আল হাজেনের ‘অলসপুর’ এবং অরুণ চৌধুরীর ‘কুয়াশার ভোর’।
তিনি আফসানা মিমি ও সঞ্জীব সরকারের পরিচালনায় দুটি নতুন ধারাবাহিকে অভিনয় করছেন। ধারাবাহিক দুটি হল ‘সাতটি তারার তিমির’ এবং ‘পলাশ ফুলের নোলক’।
সাত নারীর জীবনকাহিনি নিয়ে নির্মিত ‘সাতটি তারার তিমির’ ধারাবাহিকে এক প্রবাসী বাঙালি নারীর ভূমিকায় দেখা যাবে তাকে। যিনি দেশের টানে বিদেশের আয়েশি জীবন ছেড়ে চলে আসেন বাংলাদেশে।
ইমদাদুল হক মিলনের গল্প অবলম্বনে ‘পলাশ ফুলের নোলক’ নাটকে মানসিক ভারসাম্যহীন এক মেয়ের ভূমিকায় অভিনয় করছেন তিনি। এতে তার বিপরীতে অভিনয় করছেন চঞ্চল চৌধুরী।
দীপঙ্কর দীপন ও আহমেদ জনির দুটি নাটকেও অভিনয় করেছেন তিনি। নাটক দুটি শীঘ্রই সম্প্রচার হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
ভারতের কলকাতার একটি টিভি চ্যানেলের ধারাবাহিক ‘রোশনী’ তে অভিনয় করেছিলেন তিনি। এরপর নিয়মিতই ডাক আসছে কলকাতা থেকে। কিন্তু ভিসা জটিলতায় সেখানে যেতে পারছেন না।