শেষ ও পঞ্চম ধাপের উপজেলার নির্বাচনে বেশ কিছু কেন্দ্রে ভোট শুরুর আগেই ব্যালট বাক্সে সিলমারা ব্যালট পেপার পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে ইলেকশন ওয়াকিং গ্রুপ (ইডব্লিউজি)।
নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থার এ জোট বলছে, নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়ম ও জালিয়াতি হয়েছে। যার ফলে তাদের পর্যবেক্ষকরাও নিরাপদে কাজ করতে পারেননি। তাদের কেন্দ্র বা বুথ থেকে বের করে দেয়া হয়েছে।
নির্বাচন পর্যবেক্ষণ বিষয়ে আজ বুধবার আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানিয়েছে ইলেকশন ওয়ার্কিং গ্রুপ।
পর্যবেক্ষণ এলাকায় ভোটপ্রদানের গড় হার ৬৩.৭ হলেও জাল ভোটের কারণে এ হার প্রকৃত ভোটের প্রতিফলন নয় বলে মনে করছে ইডব্লিউজি।
পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে বলা হয়, লক্ষীপুরের তিনটি কেন্দ্রে ভোট শুরুর আগেই বাক্সে সিল মারা ব্যালট পাওয়া যায়। লক্ষীপুর, সাতক্ষীরা সদর ও টাঙ্গাইলে কয়েকটি কেন্দ্রে সাধারণ ভোটাদের কেন্দ্রে প্রবেশের পর তাদের হাতে কালি লাগিয়ে দেয়ার পর বলা হয় তাদের ভোট দেয়া হয়ে গেছে এবং ভোট না দিয়েই তাদের ফিরে আসতে হয়। বেলকুচির একটি কক্ষে একজন প্রার্থীর ১৩ জন সমর্থক ব্যালট ছিনিয়ে নেয়। এসময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা কোন পদক্ষেপ নেয়নি। গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলা ভোট গণনার সময় একজন প্রার্থীর লোকজন প্রবেশ করে গণনা বন্ধ করে অসত্য তথ্য দিয়ে চূড়ান্ত ফল দিতে চাপ দেয়। পর্যবেক্ষণকৃত আট ভাগ ভোট কেন্দ্রে গণনা প্রক্রিয়া নিয়ে আপত্তি করতে দেখা যায়। ১২ ভাগ কেন্দ্রে ফল টাঙ্গিয়ে দেননি সংশ্লিষ্ট প্রিসাইডিং অফিসার। ইডব্লিউজি বলছে তাদের আটজন পর্যবেক্ষককে প্রিসাইডিং অফিসার পর্যবেক্ষণে বাধা দেন। ভোট গণনার সময় ৩৯ জন পর্যবেক্ষককে গণনা কক্ষে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি।
জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে ইডব্লিউজির পরিচালক আবদুল আলিম, স্থায়ী কমিটির সদস্য নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ, হারুন অর রশিদ উপস্থিত ছিলেন।