আমেরিকা ভারতের বেস্ট পার্টানার হতে পারে: ওবামা

SHARE

obama27তিন দিনের সফর শেষে মঙ্গলবার ফিরছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। যাওয়ার আগে সিরি ফোর্ট অডিটোরিয়ামে দুই হাজার ছাত্রছাত্রীদের সামনে ভারতের জন্য অবারিত দ্বারে আহ্বান জানিয়ে গেলেন। সঙ্গে এটাও বলে গেলেন আমেরিকা ভারতের ‘বেস্ট পার্টানার’ হতে পারে। মঞ্চ থেকেই বিভিন্ন খাতে ভারতকে ৪০০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ ও অনুদানের কথা ঘোষণা করেন তিনি।

‘নমস্তে’ বলে ভাষণ শুরু করেন তিনি। ওবামা বলেন, ‘ভারত-মার্কিন মৈত্রী সম্পর্ক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এক সিদ্ধান্ত। তার জন্য ভারতকে সাধুবাদ জানাই। আমি আমেরিকার তরফ থেকে, তার সমস্ত নাগরিকের তরফ থেকে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছি। আমি বিশ্বাস করি অদূর ভবিষ্যতে আমেরিকা ভারতের বেস্ট পার্টনার হতে পারে। পরিস্থিতি কখনও এক রকম থাকে না। তাকে বদলাতে হয়। আমি যখন জন্মেছিলাম, তখন আমাদের মতো লোকেদের ভোটাধিকার ছিল আমেরিকায়। চামড়ার রঙের জন্য আমাদের সঙ্গে অন্য রকম ব্যবহার করা হত। কিন্তু পরিস্থিতি বদলেছে। এর জন্য আপনাদের মতো যুবাদের ভূমিকা নিতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এমন এক পৃথিবীতে বাস করি, যেখানে চূড়ান্ত অসাম্য রয়েছে সমাজের প্রতিটি স্তরে। কিন্তু আশা হারালে চলবে না। আশা ছিল বলেই একজন চা বিক্রেতা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হতে পেরেছেন। আমি আর মিশেল কোনো ধনী বা বিখ্যাত বংশের ধারক-বাহক নই। আমরা খুবই সাধারণ স্তর থেকে উঠে এসেছি। পৃথিবী থেকে এই ভেদেভেদ মুছতে আপনাদেরই উঠে দাঁড়াতে হবে। কথা বলতে হবে। আমি বিশ্বাস করি, ভারতের যুব সমাজের সেই ক্ষমতা রয়েছে, যা দিয়ে তারা শুধু ভারতকেই নয়, গোটা বিশ্বকে নতুন দিশা দিতে পারে। আমি চাই, আপনারা আরও বেশি করে আমেরিকায় আসুন এবং মার্কিনবাসীরা ভারতে আসুন। যত দিন জাত-পাত ও ধর্মান্ধতা থেকে ভারত দূরে থাকবে তত দিন এ দেশের উন্নতি অব্যাহত থাকবে। আমরা যে বিশ্ব শান্তির কথা বারবার বলি, তা আসলে আমাদের হৃদয়েই রয়েছে। শুধু তাকে খুঁজে নিতে হবে। আমি আর মিশেল যেমন খ্রিস্ট ধর্মে বিশ্বাস করি, তেমন প্রতিটি বিশ্ব নাগরিকের তাদের নিজেদের ধর্মে বিশ্বাস করা এবং তার পথে চলার পূর্ণ অধিকার রয়েছে।’

তিনি জানান, দুর্ভাগ্যবশত, ধর্মকে ব্যবহার করে বিশ্বের নানা প্রান্তে ভেদাভেদ ও হিংসাকে প্রশ্রয় দেওয়া হয়। মানুষের কালো দিক গুলোকে প্রকট করতে ধর্মের অপব্যবহার করা হচ্ছে। এদিক থেকে প্রত্যেকের সতর্ক থাকা উচিত। তার কথায়, ‘আমিই একমাত্র মার্কিন রাষ্ট্রপতি হিসাবে দু’বার ভারত সফরে এসেছি। আর আমি এ কথা জোর দিয়ে বলছি যে, আমিই শেষ রাষ্ট্রপতি হব না। ভারতের উপর আমাদের পূর্ণ আস্থা রয়েছে, এখানকার নাগরিকদের উপর আমাদের বিশ্বাস রয়েছে।