দেশে করোনায় আরও ১১ জনের মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ১০৩৪

SHARE

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে।  এ নিয়ে করোনায় মোট মারা গেছেন ২৩৯ জন। একই সময়ে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন আরও ১০৩৪ জন। এ নিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৫ হাজার ৬৯১।আজ সোমবার (১১ মে) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনাভাইরাস বিষয়ক নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা এ তথ্য জানান।

অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৭টি ল্যাবরেটরিতে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৭ হাজার দুইশ ৬৭টি। পরীক্ষা করা হয়েছে ৭ হাজার দুইশ আটটি। মোট পরীক্ষা করা হয়েছে এক লাখ ২৯ হাজার আটশ ৬৫টি।নাসিমা সুলতানা বলেন, ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের। এদের মধ্যে পুরুষ ৫ জন, নারী ৬ জন। ঢাকায় ৮ জন, চট্টগ্রামে দুইজন্য রংপুরে একজন বাসিন্দা। বয়স বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে একজন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে একজন, ৫১ থেকে ৬০ বছর বয়সের মধ্যে রয়েছে চারজন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে দুইজন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে দুইজন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে রয়েছে একজন।নাসিমা সুলতানা আরও বলেন, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছে দুইশ ৫২ জন। এই নিয়ে মোট সুস্থ হলো ২ হাজার ৯০২ জন।তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ১৮৩ জন। মোট আইসোলেশনে আছেন ২ হাজার ২৩৬ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় হোম ও প্রতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে এসেছেন ২ হাজার ৩৬০ জন। অদ্যাবধি আইসোলেশনে এসেছেন ২ লাখ ১২ হাজার ৯৮৩ জন।তিনি বলেন, সারাদেশে ৬৪ জেলায় ছয়শ ১৫টি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের জন্য প্রস্তুতি। তৎক্ষণিকভাবে এসব প্রতিষ্ঠানে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের সেবা দেওয়া যাবে ৩০ হাজার নয়শ ৫৫ জনকে।তিনি বলেন, সারাদেশে আইসোলেশন শয্যা আছে ৮ হাজার ৬৩৪টি। ঢাকার ভেতরে আছে ২ হাজার ৯টি। ঢাকা সিটির বাইরে ৫ হাজার ৭৩৪টি শয্যা আছে। আইসিইউ সংখ্যা আছে ৩২৯টি, ডায়ালাসিস ইউনিট আছে ১০২টি।বুলেটিনে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে সবাইকে স্বাস্থ্য অধিদফতর ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ-নির্দেশনা মেনে চলার অনুরোধ জানানো হয়।