করোনা ইস্যুতে ফুঁসছে ব্রাজিলের জনতা

SHARE

করোনাভাইরাসকে হালকাভাবে নেওয়ার ফল হাতেনাতে পাচ্ছে ব্রাজিল।দক্ষিণ আমেরিকার দেশটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড সংখ্যক মানুষ মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছেন। তবে তাতেও হুঁশ ফেরেনি প্রেসিডেন্ট জাইরো বোলসোনারোর। অসহায় মানুষের মৃত্যুর দায় এড়িয়ে নির্লিপ্ত কণ্ঠে তিনি পাল্টা বলছেন, ‘আমি কী করব?’ আর ‘নির্লজ্জ’ প্রেসিডেন্টের এমন কাণ্ডজ্ঞান দেখে ক্ষোভে ফুঁসছেন ব্রাজিলের আমজনতা। অনেকেই সোশাল মিডিয়ায় প্রেসিডেন্ট বোলসোনারোর মুণ্ডুপাত করে বলেছেন, ‘বেহায়ার মতো পদ আঁকড়ে থাকবেন না। আপনি এবার পদত্যাগ করুন।’

শুরু থেকেই করোনাভাইরাসকে খুব একটা গুরুত্ব দেননি ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট। বরং ‘বন্ধু’ তথা আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মতোই তিনি মারণ ভাইরাসকে ‘সামান্য ফ্লু’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে মহামারি নিয়ন্ত্রণে লকডাউনেরও বিরোধিতা করে বলেছিলেন, ‘ব্রাজিলের অর্থনীতি ধ্বংসের ষড়যন্ত্র চলছে।’

লকডাউনের পক্ষে বলায় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদ থেকে দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয়তম রাজনেতা লুই হেনরিক ম্যানডেট্টাকে বরখাস্তও করেছিলেন। গত ১৯ এপ্রিল রাজধানী ব্রাসিলিয়ায় লকডাউনবিরোধীদের এক সমাবেশে যোগ দিয়ে তিনি ‘একদিন সবাইকে মরতে হবে’ বলে উল্লেখ করে সাধারণ মানুষকে লকডাউনের উপেক্ষা করে কাজে যোগ দেওয়ার আবেদন জানান।

স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদ থেকে লুই হেনরিককে সরানোয় ক্ষুব্ধ হন ব্রাজিলের অধিকাংশ মানুষ। সম্প্রতি এক জন সমীক্ষায় উঠে আসে, দেশের ৭৬ শতাংশ মানুষ মনে করেন মহামারি নিয়ন্ত্রণে ম্যানডেটার পদক্ষেপগুলি ভাল ছিল।

গত কয়েকদিন ধরেই ব্রাজিলে করোনায় মৃত্যুমিছিল শুরু হয়েছে।

ফলে প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। কিন্তু কোনও কিছুতেই নিজের অবস্থান থেকে একবিন্দু সরতে নারাজ বোলসোনারোর।

মঙ্গলবার করোনায় একদিনে ৪৭৪ জন মানুষের মৃত্যু নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে মেজাজ হারিয়ে তিনি বলেন, ‘তাতে কী হয়েছে? আমি দুঃখিত।’

সাংবাদিকদের দিকে পাল্টা প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাকে আপনারা কী করতে বলেন?’