ম্যারাডোনার ‘হত্যা মামলা’ থেকে সরে দাঁড়ালেন বিচারক

SHARE

স্বাভাবিকভাবেই নাকি চিকিৎসাজনিত অবহেলায় ডিয়েগো ম্যারাডোনার মৃত্যু হয়েছে তা এখনো জানা যায়নি। তবে অবহেলাজনিত কারণেই হয়েছে এমন অভিযোগ এনে মামলা করেছেন তার মেয়ে জিয়ান্নিনা ম্যারাডোনা।

তাই ৮ চিকিৎসকের মধ্যে সাতজনের বিরুদ্ধে আদালতে বিচারও চলছে। কিন্তু এই বিচারকাজে এবার নতুন মোড় দেখা গেছে।
বিচারকাজ থেকেই একজন গুরুত্বপূর্ণ বিচারক সরে দাঁড়িয়েছেন। বিচারকের নাম হচ্ছে- হুলিয়েতা মাকিনটাচ। যিনি আর্জেন্টিনায় ‘ঈশ্বরের বিচারক’ বলে পরিচিত।

মাকিনটাচের বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি আইন লঙ্ঘন করেছেন।
‘ডিভাইন জাস্টিস’ নামে এক মিনি সিরিজ প্রকাশ্যে আসার পরেই তার বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সিরিজটিতে ম্যারাডোনার মৃত্যুর দিনগুলো তুলে ধরা হয়েছে। মিনি সিরিজটি বানাতে কয়েক মাসব্যাপী এই বিচারকাজ ক্যামেরায় ধারণ করেছেন, যা নৈতিকতা ও আইন লঙ্ঘন বলে অনেকে মনে করছেন। সেই সিরিজের ট্রেইলার আদালতে দেখানো হলে বাগবিতণ্ডার এক পর্যায়ে এক কৌঁসুলি প্যাট্রিসিও ফেরারি অভিযোগ করেন, মানিকটাচ বিচারক নন, অভিনেত্রীর মতো আচরণ করছেন।
পরে মানিকটাচ আর কোনো উপায় নেই বলে সরে দাঁড়ান।

বিচারক সরে দাঁড়ানোয় একটা শঙ্কা তৈরি হয়েছে। বিচারপ্রক্রিয়া শেষ পর্যন্ত সুন্দরমতো শেষ হবে কিনা। মস্তিষ্কের অস্ত্রোপচার থেকে সেরে ওঠার মধ্যে গত ২০২০ সালের নভেম্বরে ৬০ বছরে পরপারে চলে যান ম্যারাডোনা। ১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপজয়ী তারকার পুনর্বাসনের চিকিৎসা একটি অন্ধকারচ্ছন্ন ও অপরিচ্ছন্ন ভাড়া বাসায় করা হয়েছে বলে অভিযোগে তুলে মামলা করেন তার মেয়ে।
সেই মামলার রায়ে যদি অভিযুক্ত চিকিৎসকরা দোষী সাব্যস্ত হন তাহলে ৮ থেকে ২৫ বছর পর্যন্ত কারাভোগ করবেন।