কক্সবাজার ডিসি কলেজের জন্য মাইক্রোবাস দিল আইওএম

SHARE

কক্সবাজারের স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে সহায়তা কর্মসূচীর অংশ হিসেবে কক্সবাজার ডিসি কলেজের জন্য একটি ১৬-সিটের মাইক্রোবাস দিল আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)।

পাশাপাশি চলমান মহামারী করোনা (কভিড-১৯) পরিস্থিতিতে সহায়তা কর্মসূচীর অংশ হিসেবে আইওএম কক্সবাজার জেলা প্রশাসনকে ৩০টি ইনফ্রারেড থার্মোমিটার; তিন হাজার পুনঃব্যবহারযোগ্য মাস্ক; ৫০০ বোতল স্যানিটাইজার এবং ৫০০ বোতল হ্যান্ডওয়াশ হস্তান্তর করে।

আজ সোমবার কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেনের কাছে মাইক্রোবাস এবং সামগ্রী হস্তান্তর করেন আইওএম-কক্সবাজারের মানবিক সহায়তা এবং অপারেশনস-প্রধান ক্লেমেন্টিন ফেভিয়ার। সোমবার দুপুরে শহরের হিল-ডাউন সার্কিট হাউসে এই হস্তান্তর অনুষ্ঠানটি আয়োজিত হয়।

হস্তান্তর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আশরাফুল আফসার; অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ শাহজাহান আলী; আইওএম কক্সবাজারের ট্রান্সজিশন অ্যান্ড রিকভারি ইউনিটের প্রধান প্যাট্রিক শেরিগননসহ আরো অনেকে।

কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেন বলেন, কক্সবাজারের স্থানীয় মানুষ বিশেষত শিক্ষার্থীদের জন্য নিরন্তর সহায়তার জন্য বাংলাদেশ সরকার আইওএমের কাছে কৃতজ্ঞ এবং সংস্থাটি অন্যান্য জেলাগুলোতেও এই ধরণের সহায়তা বাড়িয়ে দিতে পারলে আমরা আরো আনন্দিত হব।

আইওএম-কক্সবাজারের মানবিক সহায়তা এবং অপারেশনস-প্রধান ক্লেমেন্টিন ফেভিয়ার বলেন, আইওএম এই উদ্যোগটিকে একটি যুগান্তকারী হিসাবে দেখছে এবং আমরা আশা করি এটির সাথে আরও বাচ্চাদের পড়াশোনা এবং পর্যাপ্ত বিশেষ যত্ন নেওয়ার সুযোগ থাকবে।

তিনি আরো বলেন, আইওএম সর্বদা যে কোনও সংকটে স্থানীয়দের পাশাপাশি সামনের সারির সেবাপ্রদানকারীদের সহায়তায় কাজ করে। কার্যকর সহায়তা কর্মসূচী নিশ্চিত করতে আমরা সরকার ও অন্যান্য সংস্থার সাথে সমন্বিত উপায়ে কাজ করছি।

উল্লেখ্য, এই বছর আইওএম কক্সবাজার পুলিশ প্রশাসনকে দুইটি পিক-আপ গাড়ি এবং বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের বিদ্যাপীঠ অরুনোদয় স্কুলের জন্য একটি ৩৬-সিটের কোস্টার বাস দিয়েছে। আইওএম বাংলাদেশের স্থানীয় জনগোষ্ঠী ও প্রতিবন্ধী নিয়ে কাজ করার ক্ষেত্রে সবসময় গুরুত্ব দেয়। কক্সবাজারের স্থানীয় মানুষদের সহায়তার ক্ষেত্রেও বদ্ধপরিকর আইওএম।

এছাড়া চলমান মহামারী করোনা (কভিড-১৯) পরিস্থিতিতে জাতিসংঘের অভিবাসন বিষয়ক সংস্থাটি এখন পর্যন্ত কক্সবাজারের মুক্তিযোদ্ধা, স্থানীয় প্রশাসন, আইনশৃংখলা রক্ষাকারী সংস্থা, সাংবাদিক, ফায়ার ব্রিগেড, ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় নিয়োজিত স্বেচ্ছাসেবকদের মাঝে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত ৩০ হাজার পুনরায় ব্যবহারযোগ্য কাপড়ের মাস্ক; ৮ হাজার তল হ্যান্ডওয়াশ; ৮ হাজার বোতল স্যানিটাইজার এবং ৩০টি ইনফ্রারেড থার্মোমিটার বিতরণ করেছে।