‘অস্ত্র দেওয়া হয়েছে কি হা-ডু-ডু, ডাংগুলি খেলার জন্য?’

SHARE

র‌্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ বলেছেন, ‘আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে অস্ত্র দেওয়া হয়েছে কেন? হা-ডু-ডু খেলার জন্য, না ডাংগুলি খেলার জন্য? যদি সমস্যা হয় তখন নিরাপত্তার জন্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনী গুলি করবে, গুলি করলে কি হবে, নিশ্চয় মানুষ মারা যেতে পারে। ফ্রান্সে এবং লন্ডনে যে ঘটনা ঘটেছে তখন কি সাংবাদিকরা এসব বলেছে?’

রোববার খুলনার লবণচরা এলাকায় র‌্যাব-৬ এর কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
দেশে বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড নেই মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড একটি সস্তা প্রচারণা। তাহলে বিচার অন্তর্ভূক্ত হত্যাকাণ্ড কোনটি? একটি বিশেষ শ্রেণী বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বলে প্রচার করে। তাদের উদ্দেশ্য আছে; বাংলাদেশে বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড নেই।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘দেশে নৃশংসভাবে মানুষ হত্যা করা হচ্ছে, এটা আমরা চাই না। এই কথা বললে সেটা কি রাজনৈতিক বক্তব্য হলো? গাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া, খেটে খাওয়া মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা, নারী ও শিশুকে জ্বালিয়ে দেওয়া এটি আইন অনুযায়ী ফৌজদারি অপরাধ। অপরাধীদের বিরুদ্ধেই আমাদের অবস্থান।’
র‌্যাবের মহাপরিচালক আরও বলেন, ‘দেশের অনেক জায়গায় পরিস্থিতি শান্ত হয়ে এসেছে। বাকি যে সমস্যাগুলো আছে সবাই মিলে কাজ করলে এটাও স্তব্ধ করা সম্ভব। প্রতিটি মানুষকে নিরাপত্তা দেওয়া আমাদের দায়িত্ব। র‌্যাবের কোনো সদস্য যদি অপরাধে জড়িত থাকে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ব্যাপারে আমরা জিরো টলারেন্সে অবস্থান করবো।’
একটি গোষ্ঠী দেশের বিভিন্ন স্থানে অশান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা সুসংহত করার চেষ্টা করে যাচ্ছি যাতে দেশের মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করতে পারেন। যারা দেশের মানুষের বিরুদ্ধে গোষ্ঠী স্বার্থ উদ্ধারের জন্য এক ধরনের অঘোষিত যুদ্ধ পরিচালনা করছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
এ সময় খুলনা বিভাগীয় কমিশনার আবদুস সামাদ, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার অশোক কুমার বিশ্বাস, র‌্যাব-৬ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এনামুল আরিফ সুমন, খুলনা রেঞ্জ পুলিশের ডিআইজি এসএম মনিরুজ্জামান, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার নিবাস চন্দ্র মাঝি, কোস্টগার্ড ও বিজিবির কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।