করোনা সতর্কতা মুসলিমদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, বলেছিলেন তাবলিগ নেতারা

SHARE

সরকারি নির্দেশ উপেক্ষা করে দিল্লির নিজামুদ্দিন মার্কাজে তাবলিগ জামাতের বড় জমায়েত হয়েছিল। সেখানে বহু বিদেশি মেহমান এসেছিলেন। সেখান থেকে করোনা সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে। নিজামুদ্দিনের ওই মসজিদে যোগ দেওয়ার পর মোট সাতজন মারা গেছেন। এরই মধ্যে মসজিদটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বিপুল সংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হতে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাবলিগ জামাতের প্রধান মাওলানা সাদ কান্দলভিসহ সাত জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দিল্লি পুলিশ।

এদিকে ভারতে তাবলিগ জামাতের ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত এক ভিডিও বার্তা খতিয়ে দেখছে সে দেশের পুলিশ। ওই বার্তায় সমবেতদের মুসল্লিদের উদ্দেশে বক্তা বলছেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে যে সামাজিক শিষ্টাচার মানার কথা বলা হচ্ছে, তা মুসলমানদের বিরুদ্ধে এক ধরনের ষড়যন্ত্র।

দিল্লি মারকাজ নামের একটি ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত ওই ভিডিও ফুটেজ দেখা গেছে, বক্তারা সমবেতদের সরকারের সোশ্যাল ডিস্টেন্সিংয়ের আদেশ উপেক্ষা করার পরামর্শ দিচ্ছেন। করোনাভাইরাস সতর্কতাকে ‘মুসলিম ভাইদের থেকে মুসলমানদের দূরে রাখার ষড়যন্ত্র’ আখ্যা দিতে শোনা গেছে ওই বক্তাকে।

ভিডিওতে বলতে শোনা যায়, ‘মৃত্যু থেকে কোথায় পালাবেন? মৃত্যু আপনার সামনে… এটা আল্লাহর কাছে মাফ চাওয়ার সময়। ডাক্তারের কথা শুনে নামাজ বন্ধ করে, পরস্পরের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ বন্ধ করে থাকার সময় নয়। হ্যাঁ, ভাইরাস আছে। কিন্তু আমার সঙ্গে ৭০ হাজার ফেরেশতাও আছে। তারা যদি আমাকে রক্ষা করতে না পারেন, তাহলে কে পারবেন? এখন এই ধরনের জমায়েত আরও বেশি করে করার সময়, পরস্পরকে এড়িয়ে চলার সময় নয়। আমরা একত্রিত হলে রোগ ছড়াবে, কে বলেছে?’ অনেকেই বলছেন, ভিডিওটির বক্তা মাওলানা সাদ কান্দলভি নিজেই।

গত ১ মার্চ দিল্লির নিজামুদ্দিন মারকাজ মসজিদে মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের সংগঠন তাবলিগ জামাতের একটি ধর্মীয় সমাবেশ শুরু হয়। মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, সৌদি আরব ও কিরগিজস্তানের প্রতিনিধিসহ প্রায় দুই হাজার মানুষ ওই আয়োজনে অংশ নেন। ১৫ মার্চ অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পরও অনেকে সেখানে থেকে যান। গত তিন দিনে সেখান থেকে প্রায় দুই হাজার মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

ওই অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া অন্তত ১২৪ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। ভারতের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়া এসব মানুষের কাছ থেকে আরও করোনা আক্রান্ত শনাক্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

সূত্র- হিন্দুস্তান টাইমস।