এবার লাগাতার হরতাল কর্মসূচি দেয়ার চিন্তাভাবনা করছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট। এ আন্দোলনকে সরকারের পদত্যাগের একদফা দাবিতে পরিণত করতে চায় তারা। আর এজন্য চূড়ান্ত কর্মসূচি হিসেবে ভাবা হচ্ছে অসহযোগের বিষয়টি। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে সংবাদ সম্মেলন থেকে বেগম খালেদা জিয়া নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করতে পারেন বলে জানা গেছে। খবর ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের।
৫ জানুয়ারিকে গণতন্ত্রের কালো দিবস হিসেবে পালন করতে রাজধানীতে সমাবেশ করতে চেয়েছিল ২০ দলীয় জোট। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা জারি করায় সমাবেশ করা যায়নি; পুলিশ খালেদা জিয়াকে গুলশান কার্যালয় থেকেও বের হতে দেয়নি। এর প্রতিবাদে ৬ জানুয়ারি থেকে অনির্দিষ্টকালের অবরোধ কর্মসূচির ডাক দেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। আর বের হতে না দেয়ায় ৩ জানুয়ারি থেকেই গুলশান কার্যালয়ে অবস্থান করছেন তিনি। নির্বাচনের উপায় বের না হওয়া পর্যন্ত দরকার হলে সেখানে থেকেই আন্দোলনের নেতৃত্ব দেবেন খালেদা জিয়া।
দলের ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, আওয়ামী লীগও হরতাল-অবরোধের ধারাবাহিক কর্মসূচি পালন করেছিল। তারা বঙ্গভবনের অক্সিজেন বন্ধ করে দিতে চেয়েছিল। আমরাও সেটাই করবো। শেষ পর্যন্ত কতটুকু সফল হবো তা সময়ই বলে দেবে।
দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া বলেন, আমরা সাত দফা দিয়েছি। এই দফাগুলো বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
সরকার বিএনপিকে ভাঙার ষড়যন্ত্র করছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, এতে সংলাপের মাধ্যমে সমঝোতার বিষয়টিও ক্ষীণ হয়ে আসছে।