হলো সংক্ষিপ্ত জুমা, মুসল্লিরা ছিলেন নিরাপদ দূরত্বে

SHARE

করোনা পরিস্থিতির কারণে রাজধানীর অধিকাংশ মসজিদে তুলনামূলক কম সংখ্যক মুসল্লির অংশগ্রহণে সংক্ষিপ্তভাবে শুক্রবার পবিত্র জুমার জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে দুপুর একটায় আজান দিয়ে সোয়া একটায় খুতবা শুরু করে ১টা ২৫ মিনিটের মধ্যে জামাত আদায়ও শেষ করা হয়। নামাজ শেষে মোনাজাতে করোনাভাইরাস থেকে মুক্তির জন্য বিশেষ দোয়া করা হয়।

এর আগে বুধ ও বৃহস্পতিবার ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে মসজিদে সীমিত সংখ্যক মুসল্লির উপস্থিতিতে জামাত বজায় রাখার আহ্বান জানানো হয়। অসুস্থ্ বিশেষকরে হাঁচি-কাশিতে আক্রান্ত, অতি বয়স্ক ও বিদেশফেরতদের মসজিদে যাওয়া থেকে বিরত থাকা, অন্যদেরও ব্যক্তিগত সুরক্ষার ব্যবস্থা করে শুধু ফরজ নামাজের জামাতে অংশ নিতে মসজিদে যাওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়। এরপর শুক্রবার সকালে অনেক মসজিদ থেকেও একই আহ্বান জানিয়ে মুসল্লিদের সতর্ক করা হয়। এর কিছুটা প্রতিফলন ঘটে দুপুরে জামাতের সময়।

জানা গেছে, শুক্রবার রাজধানীর মসজিদগুলোতে মুসল্লি সংখ্যা অন্যান্য দিনের তুলানায় এক চর্তুথাংশেরও কম ছিল। বায়তুল মোকাররমে উপস্থিতি সর্বোচ্চ তিন হাজারের মতো উপস্থিত ছিলেন। মসজিদটির মূল অংশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল মুসল্লি।

রাজধানীর শহীদবাগ জামে মসজিদে তিন ফুট দূরত্ব বজায় রেখে কাতারবদ্ধ হয়ে জুমার নামাজ আদায় করেন মুসল্লিরা। তবে মুসল্লির সংখ্যা ছিল খুব কম।

রামপুরা বনশ্রী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে সোয়া একটার মধ্যেই জামাত ও দোয়া শেষ হয়। ডি ব্লকে আলহেরা জামে মসজিদে ১টা ২০ মিনিটে নামাজ ও মোনাজাত শেষ করা হয়।

বায়তুল মোকাররমে পেশ ইমাম মাওলানা মহীউদ্দিন কাসেম জুমার জামাতে খুতবা দেন ও ইমামতি করেন। তিনি জানান, মুসল্লির উপস্থিতি অনেক কম ছিল। মসজিদের নিচ তলার মূল অংশেও মুসল্লি ভর্তি হয়নি।

তিনি জানান, দুপুর একটায় প্রথম আজাত দেওয়া হয়। অন্যান্য দিন সাড়ে ১২টায় আজান দিয়ে পৌনে একটা থেকে বাংলায় খুতবার ওপর আলোচনা করা হতো। কিন্তু এদিন কোনো আলোচনা করা হয়নি। সোয়া একটায় দ্বিতীয় আজান দিয়ে সারাসরি থুতবা দেওয়া হয়। খুতবাও সংক্ষেপ করা হয়। এরপর নামাজের কেরাতও সংক্ষিপ্ত করা হয়। প্রথম রাকাতে বিপদ-আপদে ধৈর্য ধারণ সম্পর্কিত সুরা আল বারাকাহর ১৫৫-১৫৭ নম্বর আয়াত এবং শেষ রাকাতে আল্লাহ তায়ালার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা সম্পর্কিত একটি আয়াত তেলাওয়াত করা হয়। জামাতের পর পরই করোনা ভাইরাস থেকে রক্ষার জন্য আল্লাহ তায়ালার কাছে মোনাজাত করা হয়।

পূর্ব গোড়ানের একটি মসজিদে জুমার নামাজ পড়েছেন মাওলানা রফিকুল ইসলাম। তিনি জানান, মসজিদে উপস্থিতি অনেক কম ছিল এবং সংক্ষেপে নামাজ পড়ানোর পর মুসল্লিরা দ্রুত মসজিদ থেকে চলে যান।

এদিকে জুমার জামাতে অংশ নেওয়া বেশির ভাগ মুসল্লি ছিলেন মাস্ক পরা। দুয়েকজন ছাড়া অধিকাংশ মুসল্লিকেই বাসা থেকে অজু করে জামাতের ঠিক কয়েক মিনিট আগে মসজিদমুখী হতে দেখা যায়।