বন্ড সুবিধায় বিনা শুল্কে আমদানিকৃত কাগজ খোলা বাজারে বিক্রি করতে নেওয়ার সময় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ঢাকা কাস্টমস্ বন্ড কমিশনারেট থেকে অভিযান চালিয়ে ১০ লাখ টাকার কাগজ আটক করেছে। এক্ষেত্রে জড়িত রাজস্বের পরিমাণ প্রায় ৬ লাখ টাকা।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার দিবাগত রাত ৩টায় রাজধানীর বাবুবাজার ব্রিজ এলাকায় অভিযান চালায় ঢাকা কাস্টমস্ বন্ড কমিশনারেটের কর্মকর্তাদের একটি দল। বন্ড সুবিধায় আমদানিকৃত কাগজ খোলা বাজারে বিক্রিতে একটি কাভার্ডভ্যানে উঠানো হয়। অভিযানে পণ্যসহ কাভার্ডভ্যান আটক করা হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন ঢাকা কাস্টমস্ বন্ড কমিশনারেটের সহকারী কমিশনার মো. আল আমিন।
আল আমিনের নেতৃত্বে ঢাকা কাস্টমস্ বন্ড কমিশনারেটের কর্মকর্তারা বন্ডের অবৈধ পণ্য পরিবহনকারী কাভার্ডভ্যান ধাওয়া করে আটকে সক্ষম হন। এ সময় তল্লাশি করে গাড়িতে ১২.৫ টন কাগজ (ডুপ্লেক্স বোর্ড ৩০০ জিএসএম) জব্দ করা হয়।
আটক পণ্য আশুলিয়ায় অবস্থিত ওয়েস্ট প্যাক ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেড নামক একটি প্রতিষ্ঠান বন্ড সুবিধায় বিনা শুল্কে আমদানি করে কারখানায় ব্যবহৃার না করে খোলা বাজারে বিক্রি করে দিয়ে থাকে। প্রতিষ্ঠানটি বাবুবাজারের একাধিক দোকানে এ পণ্য পৌঁছে দেওয়ার শর্তে আগেই টাকা নিয়ে নেয়। কাভার্ডভ্যানে উঠানো হয় পণ্য পৌঁছে দেওয়ার জন্য। আটক পণ্যের বাজার মূল্য প্রায় ১০ লাখ টাকা। এক্ষেত্রে প্রযোজ্য শুল্ক-করাদির পরিমাণ প্রায় ৬ লাখ টাকা।
মো. আল আমিন কালের কণ্ঠকে বলেন, আটক পণ্য কোনো প্রতিষ্ঠান আমদানি করেছে তা তদন্তে চিহ্নিত করা হয়েছে। গোপন গোয়েন্দা সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠান বন্ড সুবিধা গ্রহণের পর থেকে কি পরিমাণ আমদানি করেছে এবং তা দিয়ে কি পরিমাণ পণ্য তৈরি করে রপ্তানি করেছে তা খতিয়ে দেখা হবে।
ঢাকা কাস্টমস বন্ড কমিশনারেটের কমিশনার এস এম হুমায়ূন কবীর কালের কণ্ঠকে বলেন, অবৈধ বন্ড ব্যবসার মূলোৎপাটনের লক্ষ্যে অভিযান অব্যহত থাকবে।
প্রসঙ্গত, শতভাগ রপ্তানিমুখি প্রতিষ্ঠানের উৎপাদনে ব্যবহৃারের জন্য বন্ড সুবিধা নামে শূল্কমূক্ত কাঁচামাল আমদানির সুবিধা দিয়েছে সরকার। এক্ষেত্রে শর্ত থাকে বন্ডে আনার পণ্য খোলা বাজারে বিক্রি করা যাবে না। এ শর্ত ভঙ্গ করা হলে শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে গণ্য করা হবে।