যুক্তরাষ্ট্রেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসছে না, মৃত্যু এক হাজার ছাড়াল

SHARE

করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রতিনিয়ত হাজার হাজার মানুষ প্রাণ হারাচ্ছেন। এই ভাইরাসটিতে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে চীনে। আবার সবচেয়ে বেশি সুস্থও হয়েছে চীনে। তবে প্রাণহানিতে সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা ইতালিতে। পিছিয়ে নেই ট্রাম্পের দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও। বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর হিসেবে খ্যাত এই দেশটির পরিস্থিতিও নিয়ন্ত্রণে আসছে না। প্রতি মিনিটে সেখানে আক্রান্তের ঘটনা ঘটছে, পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ট্রাম্পের দেশে নতুন করে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত ২৪৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এতে করে প্রাণহানির সংখ্যা ১ হাজার ৩২ জনে দাঁড়িয়েছে। আর এখন পর্যন্ত সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৬৮ হাজার চারশ ৮৯ জনে। কোনো প্রতিষেধক না থাকায় সুস্থ হওয়ার সংখ্যা একেবারেই কম। আর এতে করেই দীর্ঘ হচ্ছে লাশের মিছিল। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সতর্ক করে বলেছে, বৈশ্বিক মহামারির পরবর্তী কেন্দ্র হতে পারে যুক্তরাষ্ট্র। অর্থাৎ ইতালির মতোই ভয়াবহ চিত্র হতে পারে যুক্তরাষ্ট্রে।

দেশটির সবগুলো অঙ্গরাজ্যেই করোনার প্রকোপ ছড়িয়ে পড়েছে। তবে সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা নিউইয়র্কে। সেখানে ৩৩ হাজার ১৩ জন মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। আর মারা গেছেন তিনশ ৬৬ জন মানুষ। সে কারণেই নিউইয়র্কে কড়াকড়ি আরোপ করেছে প্রশাসন। নিউইয়র্ক মেট্রো অঞ্চল থেকে বের হয়ে অন্য কোনো অঙ্গরাজ্যে গেলে প্রত্যেককে ১৪ দিনের জন্য কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

করোনা মোকাবেলায় বসে নেই ট্রাম্প প্রশাসন। করোনা সঙ্কটে মার্কিন অর্থনীতি ও কোটি কোটি মানুষের জন্য দুই ট্রিলিয়ন ডলারের প্রণোদনা প্যাকেজের একটি চুক্তিতে পৌঁছেছে হোয়াইট হাউস এবং সিনেট। করোনার কারণে দেশটির সঙ্কোচনশীল অর্থনীতিকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে এই প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে। মহামারির কবলে স্বাস্থ্য সেবা, ব্যবসা-বাণিজ্য এবং মার্কিন সাধারণ জনগণকে সহায়তা করতে এই অর্থ বিশেষ সহায়ক হবে।