দেশে ২৪ ঘণ্টায় নতুন করোনা আক্রান্ত রোগী নেই

SHARE

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় নতুন কোনো রোগী আক্রান্ত হয়নি। রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের (আইইডিসিআর) পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা এই তথ্য জানিয়েছেন। তবে আক্রান্তদের একজনের মৃত্যু হয়েছে।

ফ্লোরা বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় আরো একজন করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুবরণকারী ওই ব্যক্তি বিদেশ থেকে আগত রোগীর পরিবারের সদস্য। গত ১৮ মার্চ তাঁর শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। পরবতীতে এলাকার একটি হাসপাতালের আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় তাঁকে ২১ মার্চ ঢাকায় আনা হয়। ঢাকায় তিনি আমাদের এখানে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তিনি একজন পুরুষ। তাঁর বয়স ৬৫ বছর। তাঁর ডায়াবেটিস এবং হাইপারটেনশন ছিল। এসব জটিলতার জন্য আজ বুধবার সকালে তিনি মৃত্যুবরণ করেছেন।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করেছি ৮২ জনের। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয়েছে মোট ৭৯৪ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন কোন রোগী শনাক্ত হয়নি। এই মুহূর্তে আইসোলেশনে আছেন ৪৭ জন এবং প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে আছেন ৪৭ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন আরো দুইজন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন এ পর্যন্ত ৭ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় নতুন কোনো রোগী আক্রান্ত হয়নি। রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের (আইইডিসিআর) পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা এই তথ্য জানিয়েছেন। তবে আক্রান্ত একজনের মৃত্যু হয়েছে। যিনি গত ১৮ তারিখে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি হয়ে আইসোলেশনে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। পরিস্থিতি খারাপের দিকে যখন তখন তাঁকে ঢাকার কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে নেওয়া হয়।

বিদেশফেরত এক আত্মীয়ের মাধ্যমে তিনি আক্রান্ত হয়েছিলেন। তার বয়স ৬৫। তিনি একজন পুরুষ। বুধবার দুপুরে আইইডিসিআরের পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে কোনো রোগী আক্রান্ত হননি।

গত ২৪ ঘণ্টায় একজন মারা যাওয়ার ফলে দেশে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে পাঁচজনে। অন্যদিকে নতুন করে কেউ আক্রান্ত হননি, ফলে আক্রান্তের সংখ্যা ৩৯-ই আছে। তবে সুস্থ হয়েছেন আরও দুজন। সবমিলিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৭ জন।

বাংলাদেশে এ ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে গত ৮ মার্চ। এরপর দিন দিন এ ভাইরাসে সংক্রমণের সংখ্যা বেড়েছে। সর্বশেষ হিসাবে দেশে এখন পর্যন্ত ৩৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন, মারা গেছেন পাঁচজন।

করোনার বিস্তাররোধে এরই মধ্যে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে সভা-সমাবেশ ও গণজমায়েতের ওপর। চারটি দেশ ও অঞ্চল ছাড়া সব দেশ থেকেই যাত্রী আসা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।