নভেল করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ব্র্যাক স্বাস্থ্যসম্মত প্রক্রিয়ায় দুই লাখের বেশি পুনর্ব্যবহারযোগ্য মাস্ক উৎপাদন শুরু করেছে। এছাড়া সংস্থাটি ইতিমধ্যে পার্সোনাল প্রোটেকটিভ ইকুইপমেন্ট বা সুরক্ষা পোশাক তৈরির বিষয়টিও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখছে। খুব শীঘ্রই এর উৎপাদন শুরু করা সম্ভব হবে বলে জানা গেছে। ব্রাকের হেড অফ মিডিয়া অ্যান্ড এক্সটার্নাল রিলেশন্স কমিউনিকেশনস রাফে সাদনান আদেল স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানা যায়।
ইতিমধ্যে ব্র্যাকের ৫০ হাজারেরও বেশি মাঠপর্যায়ের স্বাস্থ্যকর্মী দেশের ৬১ জেলায় তৃণমূল মানুষের কাছে কোভিড-১৯ সংক্রমণ মোকাবেলার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবার্তা ও স্বাস্থ্যসুরক্ষা উপকরণ পৌঁছে দেওয়ার কাজ করে যাচ্ছেন। এর পাশাপাশি, ব্র্যাক তার ঋণকর্মসূচির কিস্তি জমাদান ২৪শে মার্চ থেকে ২রা এপ্রিল পর্যন্ত স্থগিত রেখেছে এবং সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক কাজ করে যাচ্ছে। কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প এবং স্থানীয় জনগোষ্ঠীর মধ্যেও সংক্রমণ মোকাবেলায় স্বাস্থ্যবার্তা ও সাবানসহ অন্যান্য উপকরণ বিতরণ করা হচ্ছে।
এ পর্যন্ত ব্র্যাকের ৮ হাজার ৫০০ কর্মীকে কোভিড-১৯ সংক্রমণ প্রতিরোধে করণীয় সম্পর্কে বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে, তাঁরা তৃণমূল পর্যায়ে ব্র্যাকের সচেতনতা অভিযানে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন। ব্র্যাকের স্বাস্থ্যকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে মাস্ক ও গ্লাভসের মতো প্রায় ১৮ হাজার সুরক্ষা পরিধেয় বিতরণ করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ্ বলেন, কোভিড-১৯ এর ঝুঁকি মোকাবেলায় ব্র্যাক অতি দ্রুত তার সামর্থ্য বৃদ্ধির সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছে। লাখ লাখ মানুষের কাছে স্বাস্থ্যবার্তা পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে মাস্ক তৈরি করতে শুরু করেছি আমরা।
তিনি আরো বলেন, এখন আমরা দেশেই পিপিই বা সুরক্ষা পোশাক তৈরির বিষয়টি নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছি। কোভিড-১৯ সংক্রমণের বিপুল বিস্তারের ফলে শিল্পোন্নত দেশগুলোতেও সুরক্ষা পোশাকের ঘাটতি দেখা দিয়েছে ফলে তা আমদানি করাও কঠিন হয়ে পড়েছে। আমরা আশা করছি পরীক্ষা-নিরীক্ষায় সফল হয়ে অচিরেই আমরা এর উৎপাদনে যেতে পারব। এতে বিজিএমইএসহ সংশ্লিষ্টরা এগিয়ে আসবেন এবং বাংলাদেশ সরকারের তত্ত্ববধানে এর উৎপাদন ও বিতরণ নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।