বেনাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ

SHARE

করোনাভাইরাসের জন্য ভারত সরকার লকডাউন ঘোষণা করায় সোমবার (২৩ মার্চ) থেকে আগামী শুক্রবার (২৭ মার্চ) পর্যন্ত বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে ভারত।

পণ্যবাহী ট্রাক বা ট্রাকের চালক ও হেলপারদের মাধ্যমে করোনাভাইরাসের জীবাণু এক দেশ থেকে অন্য দেশে প্রভাব বিস্তার না করতে পারে সেই লক্ষ্যে বেনাপোল বন্দরের সঙ্গে সকল ধরনের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ করে দিয়েছে ভারত সরকার। ফলে পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে সোমবার কোনো পণ্যবাহী ট্রাক বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করেনি।

বেনাপোল বন্দর দিয়ে কোনো পণ্য নিয়ে ট্র্রাক পেট্রাপোল বন্দরে যায়নি। এর আগে ২২ মার্চ ভারতে ১৪ ঘণ্টার জনতার কারফিউ জারি করায় এ পথে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ ছিল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনে লকডাউনের সময় বৃদ্ধি করতে পারে বলে ওপারের বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।

ভারতের পেট্রাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট স্টাফ ওয়েল ফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী জানান, করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার কলকাতাসহ আশপাশের শহরগুলোতে ২৩-২৭ মার্চ লকডাউন ঘোষণা করায় সকাল থেকে বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দরের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ হয়ে গেছে।

আগামী ২৭ মার্চ বিকাল ৫টা পর্যন্ত চলবে এই লকডাউন। রবিবার (২২ মার্চ) পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে এক জরুরি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বলা হয়, লকডাউনের সময়ে কলকাতাসহ অন্য শহরগুলোতে আপৎকালীন পরিষেবা বাদ দিয়ে বাকি সবকিছু বন্ধ থাকবে।

বেনাপোল কাস্টম হাউজের সহকারী কমিশনার উত্তম চাকমা জানান, করোনাভাইরাসের প্রভাব বিস্তার রোধে সোমবার ‘সকাল থেকেই দুদেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ রয়েছে। আগামী ২৭ মার্চ পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।

উল্লেখ্য, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে এর আগে ভারত সরকার বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশের ভিসা বন্ধ করে দেয়। এর পর বাংলাদেশিদের ভারতে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। সেই সঙ্গে রেল ও বাস পরিবহন বন্ধ করে দেওয়া হয়। সর্বশেষ বন্ধ করে দেওয়া হলো আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য।

করোনা আতঙ্কে পেট্রাপোল-বেনাপোল বন্দরে পণ্য আমদানি-রপ্তানি কমতে শুরু করে। প্রত্যেক দিন পণ্য পরিবহনের পরিমাণ কম ছিল। আতঙ্কের কারণে অধিকাংশ চালক ও হেলপার ট্রাক নিয়ে দুই দেশের বন্দরে যেতে চাইছেন না। যতদিন যাচ্ছে সমস্যা আরো বাড়ছে।