ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ইরান রবিবার নতুন করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)।
এমন পরিস্থিতিতে নাগরিকদের নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেওয়ার জন্য বেশ কয়েকটি এলাকায় সাইরেন বাজানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন দেশটির কর্মকর্তারা। একই সঙ্গে ইরানের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ধ্বংস করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তারা। তবে নতুন এই হামলার ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কিছু জানা যায়নি।
এর আগে তেহরানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে শাহরাক-ই-গারব ও সাদাত আবাদ এলাকায় বিকট আকারে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দারা। সেই সময় ইসরায়েলি হামলা প্রতিহত করার জন্য তেহরানের বিমান প্রতিরক্ষাব্যবস্থা সক্রিয় করা হয়েছে বলে ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর খবরে বলা হয়।
অন্যদিকে রাতভর পাল্টাপাল্টি হামলা অব্যাহত রেখেছিল ইসরায়েল ও ইরান। এতে উভয় দেশেই বহু মানুষ হতাহত হয়েছে।
শনিবার রাত থেকে এখন পর্যন্ত তেহরানে কমপক্ষে ৮০টি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানোর দাবি করেছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। যেসব লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানো হয়েছে, সেগুলো মধ্যে ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সদর দপ্তর, সামরিক বাহিনীর গবেষণা ও উন্নয়ন ইউনিট ছাড়াও ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা রয়েছে বলে দাবি করেছে আইডিএফ।
ইসরায়েলের একজন সামরিক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে রয়টার্স বার্তা সংস্থা জানিয়েছে, ইরানের একটি জ্বালানিকেন্দ্রেও হামলা চালানো হয়েছে, যেটি সামরিক ও পারমাণবিক—উভয় কাজে ব্যবহার হতো।
আইডিএফের দাবি অনুযায়ী, ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ শুরু হওয়ার পর গত তিন দিনে তারা ইরানের ১৭০টিরও বেশি লক্ষ্যবস্তু ও ৭২০টি সামরিক অবকাঠামোতে হামলা চালিয়েছে।