মহান ভাষা আন্দোলনে অংশ নেওয়া ভাষা সৈনিক ও ভাষা শহীদদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে সংস্কৃতি সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের এই তালিকা ছয় মাসের মধ্যে আদালতে দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ রবিবার এ আদেশ দেন।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসানের করা এক রিট আবেদনে এ আদেশ দেন। রিট আবেদনকারীপক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট সুবীর নন্দী দাস। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার এ বি এম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।
আদালত অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশনার পাশাপাশি রুল জারি করেন। রুলে ভাষা সৈনিক ও ভাষা শহীদদের তালিকা তৈরিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা ও ব্যর্থতা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, ভাষা সৈনিকদের মৃত্যুর পর রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করার কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, পূর্ণাঙ্গ তালিকা গেজেট আকারে প্রকাশ এবং ভাষা শহীদ ও ভাষা সৈনিকদের প্রতি উপযুক্ত রাষ্ট্রীয় সম্মান, সম্মাননা ও সম্মানী প্রদানে বিবাদীদের ব্যর্থতা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, উপযুক্ত রাষ্ট্রীয় সম্মান ও সম্মাননা ও সম্মানী প্রদানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে কেন নির্দেশনা দেওয়া হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে। মন্ত্রী পরিষদ, সংস্কৃতি ও অর্থ সচিবকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
ভাষা সৈনিক ও ভাষা শহীদদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা, সম্মাননা, সম্মানী প্রদান ও ভাষা আন্দোলনের স্মৃতি সংরক্ষণের নির্দেশনা চেয়ে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়। আবেদনে ভাষা শহীদ ও ভাষা সৈনিকদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা গেজেট আকারে প্রকাশ এবং মৃত্যুর পর রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করার নির্দেশনা চাওয়া হয়। রবিবার এ আবেদনের ওপর শুনানি হয়।
রিট আবেদনে বলা হয়েছে, বাংলা ভাষার মাধ্যমেই আমরা ভাব ও বাক প্রকাশ করে থাকি। আমাদের চিন্তা, বিবেক ও ভাব প্রকাশের স্বাধীনতা সংবিধানের ৩৯ অনুচ্ছেদ মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। আমাদের এই মৌলিক অধিকার যে বীর সন্তানদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তাদের রাষ্ট্রীয় সম্মান, সম্মানী ও সম্মাননা দেওয়া আমাদের পরম দায়িত্ব ও কর্তব্য।