করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ইরানের স্বাস্থ্যমন্ত্রী

SHARE

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ইরানের উপ স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইরাজ হারিরচি। তাঁর দেহে ভাইরাসের লক্ষণ মিলেছে। এই অবস্থায় দ্রুত তাঁর চিকিৎসা শুরু হয়েছে। বিবিসি জানিয়েছে এই খবর। এদিকে চীনের পরেই ইরান হল এমন দেশ যেখানে ভাইরাসে আক্রান্ত মৃতের সংখ্যা দ্বিতীয় সর্বাধিক। পরিস্থিতি ঘোরতর এই দেশে।

ইরানের প্রেসিডেন্ট ড. হাসান রুহানি জানিয়েছেন, উদ্বিগ্ন বোধ করলেও কোনও অবস্থাতেই অযথা ভয় পাওয়ার কারণ নেই। সরকার যাবতীয় ব্যবস্থা নিয়েছে। বিবিসির খবর, ভাইরাস আক্রান্ত দেশের উপ স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে কোয়ারেন্টাইনে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাঁকে কড়া চিকিৎসা পরিচর্যায় রাখা হয়েছে।

বিবিসি জানাচ্ছে, চীনে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কমে এলেও এই ভাইরাসে চীনের বাইরে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে ইরানে- ১২ জন। এছাড়া দক্ষিণ কোরিয়ায় ৮ জন, জাপানে ৫ জন, ইতালিতে ৭ জন, হংকংয়ে ২ জন, ফিলিপাইন্সে ১ জন, ফ্রান্সে ১ জন ও তাইওয়ানে ১ জন মারা গিয়েছেন।

এশিয়ার মধ্যে চীনের পর ইরান সর্বাধিক করোনাভাইরাসের ভয়াবহ চেহারা। ইরান থেকে মধ্য প্রাচ্যের অন্যান্য দেশে এই ভাইরাস ছড়ানোর সম্ভাবনা প্রবল। ফলে প্রবল আতঙ্কিত আরব দুনিয়ার দেশগুলি। এদিকে ইরান সরকার করোনাভাইরাস প্রতিরোধে বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে। ইরানের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে কয়েকটি দেশ। ১০টি প্রদেশে বন্ধ রাখা হয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

ইতিমধ্যে ইরানের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করেছে প্রতিবেশী দেশগুলি। কুয়েতের সরকার তাদের দেশের সাতশর বেশি নাগরিককে তড়িঘড়ি ইরান থেকে সরিয়েছে। এদিকে ইরানে মৃতের সংখ্যা যেমন বাড়ছে, তেমনই উদ্বেগময় পরিস্থিতি দক্ষিণ কোরিয়ায়। দ্রুত দক্ষিণ কোরিয়ায় বাড়ছে ভাইরাস আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। আক্রান্তের সংখ্যা ৮৯৩ জন। আর ইতালিতেও করোনাভাইরাস ছড়ানোয় রোম থেকে বিশেষ নির্দেশে বাতিল করা হয়েছে যাবতীয় পর্যটন সংক্রান্ত কার্নিভাল। বেশ কিছু শহরের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

তবে বিশেষজ্ঞরা খতিয়ে দেখছেন, চীন সীমান্ত সংলগ্ন ১৪টি দেশের মধ্যে একমাত্র উত্তর কোরিয়া সম্পর্কে কিছুই যানা যায়নি। আশঙ্কা সেখানকার কিম জং উন সরকার করোনাভাইরাস সংক্রান্ত তথ্য লুকিয়ে রেখেছে। আর বাকি ১৩টি দেশের মধ্যে ভারত-নেপাল-ভুটানে করোনাভাইরাস সংক্রমণের কোনও খবর নেই। তবে ভারতে যারা এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন সবাই সুস্থ।

এদিকে ইউরোপের ইতালিতে এই ভাইরাস সংক্রমণ হওয়ায় উদ্বেগ আরও বাড়ল। সেখানেও বিশেষজ্ঞরা খতিয়ে দেখেছেন, চীনের সংলগ্ন একমাত্র রাশিয়ার সীমান্ত। সেই দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের খবর নেই।

কেন সীমান্ত সংলগ্ন দেশগুলিতে তেমন সংক্রমণ নেই করোনাভাইরাসের? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে ব্যস্ত গবেষকরা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু জানিয়েছে, করোনাভাইরাসের টিকা বের করতে এখনও সময় লাগবে।