সালমান শাহ হত্যার মামলা তদন্তে নেমে পিবিআই ৪৪জন স্বাক্ষীর জবানবন্দী গ্রহণ করে। তাঁরা হলেন- সালমানের ভাই চৌধুরী শাহরান ওরফে বিল্টু, মামা আলমগীর কুমকুম, আলী জামান মো. আওরঙ্গজেব, স্ত্রী সামিরা হক ওয়াইজ, সালমানের বন্ধু, পরবর্তীতে সামিরার স্বামী শুশতাক ওয়াইজ, সালমানের সহকারী আবুল হোসেন খান, গৃহকর্মী মনোয়রা বেগম, বাড়ির অভ্যর্থনাকর্মী দেলোয়ার হোসেন শিকদার, চলচ্চিত্র পরিচালক বাদল খন্দকার, চলচ্চিত্র নায়িকা শাবনূর, গৃহকর্মী ডলি বেগম (ওমরের মা), সামিরার বাবা শফিকুল ইসলাম হীরা, সামিরার মা লতিফা হক লিউ ওরফে লুসি, সামিরার বোন ফারিয়া হক, খল অভিনেতা আশরাফুল হক ডন, ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক তেজেন্দ্র চন্দ্র দাস, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ মর্গের ডোম সেকান্দার আলী ওরফে রমেশ চন্দ্র দাস, ডোমের স্ত্রী আমিরুন, বাড়ির নিরাপত্তাকর্মী হারুনুর রশিদ, আবুল খালেক হাওলাদার, আব্দুল মজিদ শেখ, ইলেকট্রিশিয়ান হুমায়ন কবির, ভবনের ফ্ল্যাট ওনার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, হলি ফ্যামেলি হাসপাতালের চিকিৎসক আবুল হাশেম, সালমানের আগের সহকারী মনসুর আলী, সামিরার ফুফু সাদিয়া হক, প্রতিবেশী তাহনিয়াত আহম্মেদ করীম ওরফে অনিতা করিম (তার ছেলে জারিফও সালমানকে বাবা ডাকতো), সালমানের বন্ধু ও যুক্তরাষ্ট্রে গুগলের প্রকৌশলী সুমিত রহমান, যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী আরেক বন্ধু নাজমুল হুদা মুক্ত, গার্মেন্ট ব্যবসায়ী বন্ধু মোখলেসুর রহমান ভুট্টু, রাকিউদ্দিন খান, পানির কল মিস্ত্রি আব্দুস সালাম, ভবনের ব্যবস্থাপক নূর উদ্দিন জাহাঙ্গীর, পাশের ফ্ল্যাটের ইজ্জাতুন নেসা সুইটি, সুইটির স্বামী সালমান মহসিন, চলচ্চিত্র পরিচালক মুশফিকুর রহমান গোলজার, শাহ আলম কিরণ, সুরতহালকারী কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান, সাবেক ডিবির ডিসি সৈয়দ বজলুল করিম, মালি জাকির হোসেন তালুকদার, ফ্ল্যাটের মালিক নূরহাজান জাহাঙ্গীর, গৃহগকর্মী জরিনা বেগম ও চলচ্চিত্র পরিচালক রেজা হাসমত।
তাদের মধ্যে মামা আলমগীর কুমকুম, স্ত্রী সামিরা, সহকারী আবুল হোসেন, গৃহকর্মী মনোয়ারা, ডলি বেগম, অভিনেতা ডন, ডোম সেকান্দার, মালি জাকির, ফ্ল্যাট মালিক নূরজাহান জাহাঙ্গীর ও গৃহকর্মী জরিনা আদালতে ১৬১ ধারায় জবানবন্দী দিয়েছেন।
পিবিআইয়ের প্রধান বনজ কুমার মজুমদার বলেন, ‘সালমানের দুই বন্ধুকে আমেরিকা থেকে আনা হয়। শাবনূরকে অস্ট্রেলিয়া থেকে ডেকে আনা হয়েছিল। তিনি তিনবার এসেছেন। ২৪ বছর আগের গৃহকর্মী মনোয়ারা, ডলি, জরিনাসহ কর্মচারীদের খুজে বের করতে বেগ পেতে হয়েছে। এই মামলায় সব সন্দেহ যাচাই করতে প্রথমবারের মতো কোনো ডোমের জবানবন্দী নেওয়া হয়েছে। ডোমের স্ত্রীর বয়ানও নিয়েছি আমরা।’
সালমান শাহের মৃত্যুর মতোই ঘটনাকে আত্মহত্যা মেনে নেওয়া তার সহকর্মী, স্বজনদের জন্য কঠিন। এমনই মন্তব্য করেছেন তারা। তবে স্বাক্ষী হিসেবে যাদের সঙ্গে পিবিআই কথা বলেছে, তাদের বেশির ভাগই আত্মহত্যার তথ্য দিয়েছেন।
চলচ্চিত্র পরিচালক শাহ আলম কিরণ কালের কণ্ঠকে বলেন, “আমি খুবই অবাক হয়েছিলাম। তবে সালমান খুবই আবেগপ্রবণ ছিল। ঘটনার এক সপ্তাহ আগেও সামিরার সঙ্গে ঝগড়া করে সে একটি পাগলামি করেছিল। আমার ‘শেষ ঠিকানা’ ছবিটি করার কথা ছিল তার। আমি পারিবারিকভাবেও ঘনিষ্ঠ ছিলাম। সালমান আত্মহত্যা করেছে বলেই জেনে আসছিলাম।”