দুজনের স্বাধীনতা পদক প্রত্যাহার চাইলেন লেনিন

SHARE

আওয়ামী লীগের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরাম সভাপতিমণ্ডলীর সাবেক সদস্য ড. নূহ-উল আলম লেনিন এবারের ঘোষিত স্বাধীনতা পদক মনোনীতদের মধ্যে দুইজনের পদক প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন। তিনি তার ফেসবুকে দুই দফায় পৃথক স্ট্যাটাস দিয়ে সাহিত্যে স্বাধীনতা পদকের জন্য মনোনীত কালীপদ দাস এবং সংস্কৃতিতে স্বাধীনতা পদকের জন্য মনোনীত এস এম রইজ উদ্দিন আহম্মদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি এই দুইজনকে কেন স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে তার জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে ব্যাখ্যা দিতে বলেছেন। তিনি আরো বলেছেন, স্বাধীনতা পুরস্কার কোনো তামাশা নয়।

আজ সোমবার সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে দেওয়া স্ট্যাটাসে নূহ-উল আলম লেনিন লিখেছেন, ‘স্বাধীনতা পুরস্কার পাওয়া কালীপদ দাস কোন যুক্তিতে, কী অবদানের জন্য এবং সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের জন্য স্বাধীনতা পুরস্কার পেয়েছেন তা সবিস্তারে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ব্যাখ্যা করে দেশবাসীকে জানানো উচিত। অন্যথায় ভুল সিদ্ধান্তের জন্য ক্ষমা চেয়ে পুরস্কারটি প্রত্যাহার করা উচিত । স্বাধীনতা পুরস্কার তামাশা নয়।’

এর আগে গতকাল মধ্যরাতে দেওয়া স্ট্যাটাসে লেনিন লিখেছেন, এবছর স্বাধীনতা পুরস্কার একাধিক অজ্ঞাত অখ্যাত ও অযোগ্য ব্যক্তিকে প্রদান করে সরকারের ভাবমূর্তি মারাত্মকভাবে ক্ষুন্ন হয়েছে। এ ক্ষেত্রে সরকারের ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধার, পুরস্কারের মর্যাদা পুনপ্রতিষ্ঠার জন্য অন্তত একজনের অর্থাৎ জনাব রইছউদ্দিনের নামে প্রদত্ত স্বাধীনতা পুরস্কারটি প্রত্যাহার করা হোক।’

লেখক ও গবেষক নূহ-উল আলম লেনিন দীর্ঘদিন যাবত দলীয় কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি আওয়ামী লীগের মুখপত্র উত্তরণ বার্তা’র সম্পাদক ও প্রকাশ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে কালের কণ্ঠ’কে বলেন, এই ধরণের কাজের জন্য সরকার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়। সরকার মানে প্রধানমন্ত্রীর ভাবমূর্তি। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী তো সব খোঁজ-খবর নিয়ে পদকের জন্য ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান মনোনয়ন দেন না। এর জন্য সরকারের কমিটি আছে। এই দায়িত্ব তাদের। লেনিন বলেন, কমিটির ভুলের দায়-দায়িত্ব কেন প্রধানমন্ত্রীর হবে। অবিলম্বে উল্লিখিত দুইজনের মনোনয়ন প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি। এতে সরকার তথা প্রধানমন্ত্রীর ভাবমূর্তি রক্ষা হবে। একজন নাগরিক হিসেবে এই প্রতিবাদ জানানো অনেকেরই উচিত। আমি বিবেকের তাড়নায় প্রতিবাদ জানিয়ে রাখলাম।

গত ২০ ফেব্রুয়ারি সরকারের পক্ষ থেকে ৯ ব্যক্তি ও একটি প্রতিষ্ঠানকে স্বাধীনতা পদকের মনোনীত ঘোষণা করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। আগামি ২৫ মার্চ প্রধানমন্ত্রীর হাত দিয়ে মনোনীতদের পদক তুলে দেওয়ার তারিখ নির্ধারণ করা আছে।