তিন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ

SHARE

কক্সবাজারের রামু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তিন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বিচারপতি ফরিদ আহমেদ ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ারের হাইকোর্ট বেঞ্চ গতকাল বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) এ আদেশ দেন। চাঁদাবাজির অভিযোগে করা মামলার আসামি পঙ্কজ শর্মার করা আবেদনে হাইকোর্ট এ আদেশ দেন।

আদালতে আবেদনকারীর পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট এ কে এম ফয়েজ ও বিথী রায়।

যে তিন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাঁরা হলেন রামু স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. চিন্ময় বড়ুয়া, রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের সহকারী সার্জন ডা. শর্মিলা বড়ুয়া এবং রাজারকুল ইউনিয়নের স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ কেন্দ্রের সাবেক সহকারী সার্জন ডা. মৃত্যুঞ্জয় বড়ুয়া।

গতকাল আদেশের পর অ্যাডভোকেট এ কে এম ফয়েজ বলেন, কক্সবাজারের রামু উপজেলার মেরুংলোয়া গ্রামের বাসিন্দা শিরুপন বড়ুয়া চাঁদাবাজির অভিযোগে নয়ন শর্মা, আংগুরী বালা শর্মা ও পঙ্কজ শর্মার বিরুদ্ধে মামলা করেন। ওই মামলায় মামলার বাদী মেডিক্যাল সার্টিফিকেট দাখিল করেন।

বিবাদীরা ওই মেডিক্যাল সার্টিফিকেট মিথ্যা উল্লেখ করে তদন্ত চেয়ে কক্সবাজারের ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আবেদন করেন। আদালত বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দেন। এ আদেশের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলার বাদী কক্সবাজার দায়রা জজ আদালতে আবেদন করেন। আদালত বাদীর আবেদন খারিজ করেন। এরপর সিভিল সার্জন তদন্ত করে মেডিক্যাল রিপোর্ট মিথ্যা বলে প্রমাণিত হয়।

এরপর প্রতিবেদন এবং ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের আদেশ স্থগিত চেয়ে জেলা জজ আদালতে রিভিশন আবেদন করেন ওই তিন চিকিৎসক। দায়রা জজ আদালত ম্যাজিস্টেট আদালতের আদেশ স্থগিত করে দেন। এ অবস্থায় দায়রা জজ আদালতের আদেশ স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন পঙ্কজ শর্মা। আবেদনে ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের আদেশ বহাল রেখেছেন।