ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে খুন হওয়া বাংলাদেশের কিশোরী ফেলানী খাতুন হত্যা মামলার আপিল শুনানির আবেদন ভারতের সুপ্রিম কোর্টে শুরু হয়েছে। সম্প্রতি নয় বছর পার হয়েছে ফেলানী হত্যাকাণ্ডের।
গতকাল শুক্রবার ভারতের সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচুড় এবং বিচারপতি কে এম যোশেফের সমন্বয়ে গঠিত ডিভিশন বেঞ্চ এই আপিলের শুনানি শুরু হয়।
শুক্রবার প্রাথমিক শুনানি শেষে আগামী ১৮ মার্চ পরবর্তী তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।
২০১১ সালের জানুয়ারি ভোরে সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়ার ওপর ফেলানির লাশ ঝুলে ছিল।
ফেলানির ওপর বিএসএফের অমিয় ঘোষ নামে যে কনস্টেবল গুলি চালিয়েছিল বলে অভিযোগ, সে বিএসএফ এর নিজস্ব বিচার প্রক্রিয়ায় অব্যাহতি পেয়েছেন। বিএসএফের বিশেষ আদালত তাকে বেকসুর খালাস দেয়। এরপর বিএসএফের রায় পুনর্বিচার করার সিদ্ধান্ত হয়। পুনর্বিচারেও অমিয় ঘোষকে দোষী সাব্যস্ত করা যায়নি।
সেই অব্যাহতিকে চ্যালেঞ্জ করেই ভারতের বেশ কয়েকটি মানবাধিকার সংগঠন সুপ্রিম কোর্টের শরাণাপন্ন হয়। তাদের দায়ের করা মামলাতেই অনেকদিন পর শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টে এর শুনানি শুরু হয়েছে।
শুনানিতে ভারতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বলেন, চোরাকারবারি মনে করে শীতের সকালে ঘন কুয়াশার মধ্যে বিএসএফ সদস্যরা ফেলানিকে গুলি করে।