১১২ বছর বয়সী একজন জাপানী ব্যক্তি বিশ্বের প্রবীণতম ব্যক্তি হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন। তিনি তার দীর্ঘায়ু জীবন লাভের গোপন রহস্যের কথা বলেছেন। এই দীর্ঘজীবনের নেপথ্যের কারণ হিসেবে ‘হাসি’ কিংবা সবসময় হাসিখুশিতে থাকার বিষয়টি উল্লেখ করেছেন তিনি।
ওই প্রবীণ ব্যক্তির নাম চিত্তসু ওয়াটানাবে। ১৯০৭ সালের ৫ মার্চ নাইটাটা প্রদেশের জোয়েতসুর নার্সিংহোমে তিনি জন্মগ্রহণ করেছেন।
সম্প্রতি তিনি গিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ড সংস্থার কর্মকর্তার হাত থেকে সার্টিফিকেট গ্রহণ করেন। তিনি এখনও সুস্বাস্থ্যের অধিকারী বলে জানা গেছে।
ওয়াটানাবের মেয়ের নাম তেরুকো তাকাহাশি। তিনি ৭৮ বছর বয়সী। তিনি বলেন, আমি বাবার দিকে চেয়ে থাকি, তার বয়স যাই হোক না কেন।
এর আগে, বিশ্বের প্রবীণতম ব্যক্তি ছিলেন ম্যাসাজো নোনাকা। তিন হোক্কাইডোর বাসিন্দা ছিলেন। ১১৩ বছর বয়সে ২০১৯ সালের ২০ জানুয়ারী মারা যান তিনি। তিনি মারা যাওয়ার পরে ওয়াতানাবেকে সবচেয়ে বয়স্ক জীবিত ব্যক্তি হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
কৃষক পরিবারে জন্ম নিয়েছেন ওয়াটানাবে। তিনি ২০ বছর বয়সে তাইওয়ানে চলে আসেন। সেখানে ১৮ বছর কাটিয়েছিলেন তিনি।
তিনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে জাপানে ফিরে আসেন। এরপর অবসর নেওয়ার আগ পর্যন্ত নিজ শহরে একজন সরকারী কর্মচারী হিসেবে কাজ করেন।
তাঁর পাঁচটি সন্তান, ১২ জন নাতি-নাতনি রয়েছে বলে পরিবারের সূত্রে জানা গেছে।
প্রসঙ্গত, জাপান বিশ্বের শীর্ষ দেশগুলোর মধ্যে একটি যেখানে সবচেয়ে বেশি দীর্ঘায়ু ব্যক্তিদের বাসস্থান।
সূত্র: জাপান টাইমস, ডেইলি নিউজ