বিএনপির সঙ্গে সংলাপের সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচটি ইমাম বলেছেন, “সংলাপে বসতে হলে সন্ত্রাসী, জঙ্গিবাদী, যুদ্ধাপরাধীদের ত্যাগ করার লিখিত দিয়ে সরকারের কাছে ভালোভাবে বিনয়ের সঙ্গে আবেদন করতে হবে। যেনতেনভাবে করলে হবে না।”
মঙ্গলবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে এক সেমিনারে এইচটি ইমাম এসব কথা বলেন। ‘গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা ও সাফল্যের এক বছর’ শীর্ষক এ সেমিনারের আয়োজন করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা উপকমিটি। সেমিনারে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আবদুল মান্নান।
এইচটি ইমাম বলেন, “তত্ত্বাবধায়ক ও অন্তর্বর্তী নির্বাচনের সম্ভাবনা নেই। এটি একটি দেশের সরকারের ওপর নির্ভর করে, সরকার চাইলে যেকোনো সময় মধ্যবর্তী নির্বাচন দিতে পারে।”
তিনি বলেন, “বিএনপি ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে অংশ না নিয়ে ভুল করেছে। এজন্য তারা নিজেদের চুল ছিঁড়েছে। এখন তাদের ভুলের আক্রোশ জনগণের ওপর যাচ্ছে।”
ইমাম বলেন, “যারা বাংলাদেশে বিশ্বাস করেন তাদেরই এদেশে থাকার অধিকার আছে। ৫ জানুয়ারির নির্বাচন ছিল বাংলাদেশের অস্তিত্বের প্রশ্ন। কারণ বিরোধীপক্ষের পেছনে ছিল রাজাকার, পাকিস্তান, আইএসআই ও আন্তর্জাতিক চক্র।”
প্রধানমন্ত্রীর এই উপদেষ্টা বলেন, “বিএনপি বাংলাদেশে বসবাস করে কিন্তু পাকিস্তানে বিশ্বাস করে। আজও তারা বাসে-ট্রেনে আগুন দেয়। মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করে- কত অসভ্য, কত বর্বর যুগে এরা চলে গেছে!”
তিনি বলেন, ‘আদালত সামরিক শাসনকে অবৈধ ঘোষণা করেছিল তাই চিন্তা করতে হবে আমরা বিএনপিকে অবৈধ ঘোষণা করব কিনা।’
সেমিনারে আরো বক্তব্য দেন বিশিষ্ট সাংবাদিক আবেদ খান, নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব.) আবদুর রশীদ, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক মেজবাহ কামাল, একাত্তর টিভির মোজ্জামেল বাবু, আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, অসিম কুমার উকিল, সুজিদ রায় নন্দী এবং ছাত্রলীগ সভাপতি বদিউজ্জামান সোহাগ প্রমুখ।