ডাক্তারের কথায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বলে সন্দেহ হয় ভারতের অন্দ্রপ্রদেশের এক ব্যক্তির। এরপর বাড়ি ফিরে আত্মহত্যা করেছেন ৫০ বছর বয়সী বালাকৃষ্ণ।
বালাকৃষ্ণের পরিবারের লোকজন বলছেন, তার সন্দেহ হয়েছেলি যে- করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এজন্য নিজের পরিবারের লোকজন, গ্রামের মানুষ এবং অন্যদের ভেতর যেন এই ভাইরাস ছড়িয়ে না যায়, সেজন্য আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন।
জানা গেছে, শ্বাস নিতে সমস্যা হওয়ার কারণে ত্রিপাতির রুইয়া হাসপাতালে গিয়েছিলেন বালাকৃষ্ণ। সেখানে ডাক্তার তাকে পরামর্শ দেন, তিনি যেন মাস্ক পরে থাকেন। কারণ, তার সর্দি, কাশি ও ঠান্ডাজ্বর হয়েছে।
আর এসব লক্ষণ করোনাভাইরাসের সঙ্গে কিছুটা মিলে গেছে। এদিকে বালাকৃষ্ণ ধরে নেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। বালাকৃষ্ণের ছেলে বলেন, সেই ধারণার পর বাবা আর আমাদের কাউকে কাছে ভিড়তে দেননি। তিনি ভুল বুঝেছিলেন যে- করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তাকে ভালোভাবে ডাক্তার সব বুঝিয়ে বললে কিংবা কাউন্সেলিং দিলে এই সমস্যা আর হতো না।
বালাকৃষ্ণের ছেলে আরো বলেন, প্রথমে বাবা বাড়ি এসে ঘরের মধ্যে একা থাকেন। আমাদের তৎপরতায় তিনি ঘরে আত্মহত্যা করতে পারেননি। কিন্তু পরে গাছে দড়ি টাঙিয়ে ঝুলি পড়েছেন।