ডেঙ্গু প্রতিরোধে শহরের পাশাপাশি গ্রামে নজরদারির তাগিদ

SHARE

শহরকেন্দ্রীক ডেঙ্গু মোকাবেলার পাশাপাশি গ্রামাঞ্চলের ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে রাখা অনেকগুণ বেশি কঠিন কাজ। ঢাকার বাইরে মফস্বল শহর ও গ্রামাঞ্চলের ডেঙ্গু মোকাবেলায় পূর্ব প্রস্তুতির ক্ষেত্রে সেদিকে এখন থেকেই নজর রাখতে হবে।

আজ রবিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কনফারেন্স রুমে রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার ম্যালেরিয়া ও ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমের উদ্যোগে এক মতবিনিময় সভায় বিশেষজ্ঞরা এ অভিমত ব্যক্ত করেন।

সভায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (উন্নয়ন ও পরিকল্পনা) অধ্যাপক ডা. সানিয়া তহমিনা, পরিচঅরক (হাসপাতাল ডা. আমিনুল ইসলাম, বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিক্যাল প্রাকটিশনার্স অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব ডা. মো. জামাল উদ্দিন চৌধুরীসহ অন্যরা আলোচনা করেন।

অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, গত বছর অস্বাভাবিক সংখ্যক মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে। জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ডেঙ্গুর পিক মৌসুম হলেও গত বছরের অভিভজ্ঞতায় বছর জুড়েই যেন ডেঙ্গুর মৌসুম। সেদিকে নজর রেখে এবার আমরা আগেভাগেই সর্বাত্নক কার্যক্রম শুরু করেছি।

অধ্যাপক ডা. সানিয়া তহমিনা বলেন, ডেঙ্গু মোকাবেলায় বিভিন্ন স্টেক হোল্ডারকে নিয়ে একযোগে কাজ করাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ডেঙ্গুর বিভিন্ন সেরোটাইপ সম্পর্কে জ্ঞান থাকা দরকার রয়েছে।

সভায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম) ডা. আয়েশা আক্তার জানান, সারা দেশে চলতি বছর ১ জানুয়রি থেকে ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে ১৭৯ জন এবং হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে ১৬৮ জন। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিত্সাধীন রয়েছে ১১ জন ডেঙ্গু রোগী। রবিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত পূববর্তী ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছে ২ জন।

অন্যদিকে গতবছর ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সারা দেশে মোট ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জন এবং ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা ছিল ১৫৬ জন। ২০২০ সালে কোনো ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি।