ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ইরানে বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে : দাবি পশ্চিমা নেতাদের ইরানের প্রত্যাখ্যান

SHARE

ইরানই ভুলবশত ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে ইউক্রেনের প্লেনটিকে ভূপাতিত করেছে বলে দাবি করছে মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলো। এ ধারণার সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোসহ ব্রিটিশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতারা।

মার্কিনসহ বিভিন্ন দেশের গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, তেহরানের কাছে ইউক্রেনের যে প্লেনটি বিধ্বস্ত হয়েছিল, ইরানই ভুলবশত ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে সেটি ভূপাতিত করেছে।

বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে মার্কিন ঘাঁটিতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কয়েক ঘণ্টা পর। সে সময় মার্কিন সম্ভাব্য প্রত্যুত্তরের অপেক্ষায় ইরানের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা অত্যন্ত সতর্ক অবস্থায় ছিল। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো বলছে সে সময় ইরানের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভুলক্রমে যাত্রীবাহী বিমানটিকে মার্কিন বিমান ভেবে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে। বিমানটিকে রাশিয়ায় নির্মিত ‘টর’ ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে বলেও জানিয়েছে মার্কিন ও ইরাকি সামরিক গোয়েন্দারা।

বুধবার (৮ জানুয়ারি) তেহরানের কাছে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের উদ্দেশে উড্ডয়নের পরেই বোয়িং-৭৩৭ মডেলের একটি প্লেন বিধ্বস্ত হয়। এতে ১৭৬ আরোহী প্রাণ হারান।

প্লেনটি বিধ্বস্ত হওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে জেনারেল কাসেম সোলেমানির হত্যার প্রতিশোধ হিসেবে ইরাকের মার্কিন ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় দেশটি। বিধ্বস্ত বিমানের ব্ল্যাক বাক্সটি খুঁজে পেয়ে সেটির নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান বোয়িং বা মার্কিন কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর না করার ঘোষণা দেয় দেশটি। পরে অবশ্য বোয়িংয়ের কর্মকর্তাদের ইরানেই তা পরীক্ষার আমন্ত্রণ জানানো হয়।

তবে ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে এমন দাবি মানতে নারাজ ইরান। বিষয়টিকে গুজব হিসেবে উড়িয়ে দিয়ে সেই গুজব কঠোর ভাষায় প্রত্যাখ্যান করেছে ইরান। ইরানের সড়ক ও নগর উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রী মুহাম্মদ এসলামি বলেছেন, ইঞ্জিনে ত্রুটি দেখা দেয়ার কারণে ইউক্রেনের বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে।

সে ব্যাপারে ইরানের মন্ত্রী বলেন, সন্ত্রাসী হামলা, বিস্ফোরণ কিংবা গুলি করে বিমানটি ভূপাতিত করার গুজব ছড়ানো হচ্ছে। তবে সেই গুজব সত্য নয়। বিমানটি কারিগরি ত্রুটির কারণেই বিধ্বস্ত হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, ইরানের হাত থাকলে বিমানটি আকাশেই বিস্ফোরিত হতো। তবে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বিমানটিতে কারিগরি ত্রুটির কারণে আকাশে থাকতে আগুন ধরে যায় এবং পরে এটির উচ্চতা কমতে থাকে এবং এক সময় মাটিতে আছড়ে পড়ে।