চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যানকে হাইকোর্টে তলব

SHARE

চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যানকে তলব করেছেন হাইকোর্ট। আগামী ২৬ জানুয়ারি তাকে সশরীরে হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর আগে দেওয়া আদেশ বাস্তবায়ন না করায় এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে ২৬ জানুয়ারির মধ্যে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ রবিবার এ আদেশ দেন। মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) করা এক আবেদনে এ আদেশ দেওয়া হয়েছে। আবেদনকারী পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ।

এর আগে কর্ণফুলী নদীর তীরে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। এ আদেশের পর জেলা প্রশাসন কিছু অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে। কিছু স্থাপনা বন্দর এলাকার মধ্যে থাকায় সেটি আর উচ্ছেদ করা যায়নি। এ অবস্থায় বন্দর কর্তৃপক্ষ সময় চেয়ে আবেদন করলে আদালত তিন মাস সময় দেন। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ না করে ফের সময় আবেদন করায় বন্দরের চেয়ারম্যানকে তলব করে আদেশ দিলেন আদালত।

এর আগে হাইকোর্টের এক আদেশে কর্ণফুলী নদীর পাড়ে চট্টগ্রাম বন্দরের পাশে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে ৩০ দিনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দেন। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ও বন্দরের চেয়ারম্যানের প্রতি এ নির্দেশ দেওয়া হয়।

কর্ণফুলী নদীর তীরে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশনা চেয়ে ২০১০ সালে রিট আবেদন করে এইচআরপিবি। এই রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট ২০১৬ সালের ১৬ আগস্ট এক আদেশে কর্ণফুলী নদীর তীরে থাকা ২ হাজার ১৮৭টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ দেন।

এই নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য সংশ্নিষ্টদের আইনি নোটিশ দেওয়া হয়। কিন্তু বিবাদীদের কাছ থেকে কোনো জবাব না পেয়ে তাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদন করা হয়। এ আবেদনে হাইকোর্ট চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়রসহ আটজনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করেন। এরপরই জেলা প্রশাসন উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে।