সংগ্রাম সম্পাদক আবুল আসাদ কারাগারে

SHARE

দৈনিক সংগ্রাম পত্রিকার সম্পাদক আবুল আসাদকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

আজ তিন দিনের পুলিশ রিমান্ড শেষে আসামিকে আদালতে পাঠানো হয়। অন্যদিকে আসাদেও পক্ষে আইনজীবীরা জামিনের আবেদন করেন। মহানগর হাকিম বাকী বিল্লাহ শুনানি শেষে জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

গতকাল শনিবার আদালত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলায় তিন দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন। এর আগে গত শুক্রবার সংগ্রাম অফিস থেকে আবুল আসাদকে আটক করে হাতিরঝিল থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। পরে তাঁকে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়। পুলিশ প্রতিবেদনে বলা হয়, মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াত নেতা কাদের মোল্লাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারের মাধ্যমে তাঁর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়। গুরুতর অপরাধের দায়ে তাঁর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হলেও সংগ্রাম পত্রিকায় একটি প্রতিবেদনে তাঁকে ‘শহীদ’ আখ্যায়িত করা হয়। এতে জনমনে মারাত্মক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিরও অবনতি হওয়ার উপক্রম দেখা দেয়। তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। তাঁকে মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত আটক রাখা প্রয়োজন।

গত ১২ ডিসেম্বর দৈনিক সংগ্রাম পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে মনবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে শাস্তিপ্রাপ্ত ’৭১-এর ঘাতক কাদের মোল্লাকে শহীদ হিসাবে উল্লেখ করা হয়। এমন খবরে শুক্রবার সন্ধ্যায় পত্রিকা কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ নামের একটি সংগঠনের নেতাকর্মীরা। তাঁরা সংগ্রাম কার্যালয়ে কার্যালয়ে ভাঙচুর ও তালা লগিয়ে দেন। খবর পেয়ে হাতিরঝিল থানা পুলিশ পত্রিকার কার্যালয় থেকে আবুল আসাদকে হেফাজতে নেয়।

পরে ঢাকা সিটি করপোরেশনের ৩৬ নম্বর ওয়ার্ড মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোহাম্মদ আফজাল সংগ্রাম পত্রিকার সম্পাদকসহ সাত-আটজনকে আসামি করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা করেন।