নির্দলীয় সরকারের অধীনে সবার অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের দাবি মেনে না নেয়া পর্যন্ত অবরোধ চলবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ।
বৃহস্পতিবার সকালে বারিধারার একটি বাসায় সামনে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
রিজভী বলেন, আমাদের দাবি অত্যন্ত ন্যায়সঙ্গত। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত সারাদেশে চলমান অবরোধ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।
শুক্রবার থেকে শুরু হতে যাচ্ছে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ ধর্মীয় জমায়েত বিশ্ব ইজতেমা। ইজতেমা উপলক্ষে বিএনপির অবরোধ কর্মসূচি স্থগিত করা হবে কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে রিজভী আহমেদ বলেন, সারাদেশে সরকারের দমন-পীড়ন অব্যাহত রয়েছে। বুধবারও ৩ নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। প্রতিদিন তাদের নিষ্ঠুর নির্যাতনে সারাদেশে বিরোধী দলের নেতাকর্মীরা আহত হচ্ছে।
তিনি বলেন, এ রকম পরিস্থিতিতে আমরা স্পষ্টভাষায় বলে দিতে চাই, যতোক্ষণ পর্যন্ত আমাদের ওপর দমন-পীড়ন বন্ধ করা না হবে, যতোক্ষণ পর্যন্ত আমাদের সমাবেশের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে না দেয়া হবে, যতোক্ষণ পর্যন্ত নির্দলীয় সরকারের অধীনে একটি স্বচ্ছ নির্বাচনের দাবি মেনে না নেয়া হচ্ছে, ততোক্ষণ পর্যন্ত আমাদের অবরোধ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।
সরকারের বিরুদ্ধে বিএনপিকে কর্মসূচি পালনে বাধা দেয়ার অভিযোগ করে রিজভী বলেন, সরকার বিরোধী দলকে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করতে দিচ্ছে না।
দমন নীতির মাধ্যমে সরকার জনগণের গণতান্ত্রিক কর্মসূচিতে বাধা দিচ্ছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, হরতাল-অবরোধ এসব গণতান্ত্রিক কর্মসূচি। এসব কর্মসূচিতে তারা (সরকার) বাধা দিচ্ছে। নেতাকর্মীদের ওপর গ্রেফতার নির্যাতন চালানো হচ্ছে। বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে গ্রেফতার করে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। দেশব্যাপী নেতাকর্মীদের নামে অসংখ্য মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। তিনি এসব অত্যাচার নির্যাতন বন্ধ করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
অবিলম্বে গুলশানের কার্যালয়ের সামনে থেকে পুলিশ সরিয়ে নিয়ে বিএনপি নেত্রীর স্বাভাবিক চলাচল নিশ্চিত করার দাবি জানান তিনি।