পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ গুরুতর অসুস্থ। কিন্তু উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডন যেতে পারছেন না তিনি। উন্নত চিকিৎসার জন্য যাতে বিদেশে যেতে পারেন, সেই কারণে দুর্নীতি মামলায় তাঁর জামিন মঞ্জুর করেছিল আদালত। জামিন পেয়েই চিকিৎসার জন্য লন্ডনে উড়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তও নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু লাহোর বিমানবন্দরে থাকা ‘নো-ফ্লাই’ তালিকায় নাম থাকায় রবিবার লন্ডনে যেতে পারলেন না নওয়াজ শরিফ।
ওই বিষয় নিয়ে বিতর্কের ঝড় উঠতেই পাকিস্তানের প্রশাসনের এক কর্মকর্তা বলেছেন, ‘ওই তালিকা (নো-ফ্লাই) থেকে নাম সরানোর ক্ষমতা রয়েছে শুধু ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি ব্যুরোর (এনএবি) চেয়ারম্যানের। তিনি না থাকায় নো অবজেকশন সার্টিফিকেট দেওয়া যায়নি।
গত কয়েকদিন ধরেই গুরুতর অসুস্থ নওয়াজ শরিফ। দেশে থেকে চিকিৎসা সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দেন চিকিৎসকরা। কিন্তু চিকিৎসার জন্য প্রথমে বিদেশে যেতে রাজি ছিলেন না তিনি। শেষ পর্যন্ত চিকিৎসকদের এবং পরিজনদের কথা ভেবে চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যেতে রাজি হন।
রবিবার সকালেই পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইসেন্সের বিমানে তাঁর লন্ডন যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে তা বাতিল করতে হয়। দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত থাকায় দেশের বিভিন্ন বিমানবন্দরে ‘নো-ফ্লাই’ তালিকায় নাম রয়েছে শরিফের। নাম না মোছা পর্যন্ত তাঁকে বিদেশের বিমানে উঠতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়ে দেন বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।
শরিফের লন্ডন যাওয়া বাতিল হতেই ইমরান খানের সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় উঠতে শুরু করে। একজন অসুস্থ মানুষের বিরুদ্ধে কেন রাজনৈতিক প্রতিহিংসা মেটানো হচ্ছে, সেই প্রশ্নও তোলেন অনেকে। সমালোচনার মুখে পড়েই নড়েচড়ে বসে ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি ব্যুরোর কর্মকর্তারা। তড়িঘড়ি করেই শরিফের চিকিৎসা সংক্রান্ত নথিপত্র চেয়ে পাঠান তাঁরা।
সূত্রের খবর, মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর বিষয়টি দেখছে পাক প্রশাসন। ফলে যে কোনও মুহূর্তে তাঁকে বিদেশযাত্রার অনুমতি দেওয়া হতে পারে।
তবে শরিফের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিশেষ সচিব ফিরদৌস আশিক খান।
তিনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান স্পষ্টই জানিয়ে দিয়েছেন,রাজনীতি ও স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয়কে সম্পূর্ণ আলাদা করেই দেখা হবে।