বিমান বিধ্বস্ত হয়ে মারা গেছে আর সবাই। বেঁচে যায় শুধু সাত বছরের এক মেয়ে। হতবিহ্বল মেয়েটি হেঁটে গিয়ে কড়া নাড়ে কাছের এক বাড়ির দরোজায়। দরোজা খুলে দেয়া লোকটিকে জানায়, বিমান বিধ্বস্ত হয়ে মারা গেছে তার বাবা-মা।
অবাক করা এই ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রের কেনটাকি অঙ্গরাজ্যের লিওন কাউন্টিতে।
কেনটাকির পুলিশ জানায়, বিধ্বস্ত বিমানটি পরে চারজন মানুষের মৃতদেহ সহ খুঁজে পাওয়া যায়। মেয়েটির পরিচয় পুলিশ এখনো প্রকাশ করেনি।
মেয়েটিকে এখন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তার অবস্থা আশংকামুক্ত।
যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল এভিয়েশন এডমিনিস্ট্রেশন জানায়, পাইপার পিএ-৩৪ বিমানটির সঙ্গে এয়ার ট্রাফিক কনট্রোলের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার আগে বিমানটির পাইলট ইঞ্জিনে গোলযোগ দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছিল।
কেনটাকির পুলিশ সার্জেন্ট ডিন প্যাটারসন বলেন, সাত বছরের মেয়েটি নিজে পায়ে হেঁটে এসে সবচেয়ে কাছের বাড়িতে গিয়ে এই বিমান দুর্ঘটনার খবর দেয়। মেয়েটি যে প্রাণে বেঁচে গেছে সেটা একটা অলৌকিক ঘটনা।