ভারতে মে মাসে ক্ষমতায় আসে বিজেপি৷ প্রধানমন্ত্রী হন নরেন্দ্র মোদি৷ তবে দুই দেশের সম্পর্কে যে শিগগিরই শান্তি আসবে সেটা মনে করছেন না বিশ্লেষকরা৷
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেয়ার অনুষ্ঠানে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফকে স্বাগত জানিয়েছিলেন মোদি৷ এই ঘটনায় দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নের আশা করেছিলেন অনেকে৷ কিন্তু পরে দেখা যায়, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর দিল্লি সফরের দুই মাসেরও কম সময়ের মধ্যে কাশ্মির সীমান্তে দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে৷ এ বিষয়ে সাংবাদিক ও গবেষক ফারুক সুলেহরি বলেন, ‘‘ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে কখনও আসলে সত্যিকারের শান্তি প্রক্রিয়া ছিল না৷ মাঝেমধ্যে কিছু সময়ের জন্য শুধু উত্তেজনায় বিরতি দেখা গেছে৷ ১৯৪৭ সাল থেকেই এমনটা হয়ে আসছে৷”
সন্ত্রাসী দমনে বৈষম্য
বর্তমানে পাকিস্তানকে দুই ধরনের সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে লড়তে হচ্ছে৷ একদল পাকিস্তানের অভ্যন্তরে হামলা করছে৷ আরেকদল পাকিস্তানে থেকে ভারত ও আফগানিস্তানে হামলা করছে৷ যেমন কদিন আগে পেশাওয়ারে একটি স্কুলে হামলা চালায় তালেবান৷ ওই হামলার পর পাকিস্তানের একটি আদালত জাকি উর রেহমান লাখভিকে ছেড়ে দেয়৷ ভারতের মুম্বাইতে ২০০৮ সালে যে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছিল ওই ঘটনার অন্যতম পরিকল্পনাকারী এই লাখভি৷ এছাড়া মুম্বাই হামলার সঙ্গে জড়িত হাক্কানি নেটওয়ার্ক, আফগান তালেবান, লস্কর-ই-তৈয়বার জঙ্গিদের পাকিস্তান বিচার করবে বলে আশা ছিল ভারতের৷ কিন্তু সেটা হয়নি৷ তাই পাকিস্তানে ভারতের সাবেক রাষ্ট্রদূত জি. পার্থসারথী মনে করেন, পাকিস্তান যতদিন সন্ত্রাসী দমনের ক্ষেত্রে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বৈষম্য করা থেকে বিরত না থাকছে ততদিন দুই দেশের মধ্যে শান্তি আসবে না৷
ইসলামাবাদের সাংবাদিক আব্দুল আগা বলেন, বিবদমান বিষয়গুলোর সমাধানে দুই দেশের উচিত শান্তি আলোচনা শুরু করা৷ এছাড়া বাণিজ্য বাড়ানো এবং দুই দেশের মধ্যে মানুষে-মানুষে যোগাযোগ বাড়ানোর উপরও জোর দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি৷ ‘‘সেটা না হয়ে দ্বন্দ্বে জড়ালে শুধুমাত্র সন্ত্রাসীরাই লাভবান হবে,” বলে মনে করেন আগা৷- ডিডব্লিউ